২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ ইউক্রেনীয় সীমানা অতিক্রম করেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতে এই সংকট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী সংকট।
পোল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে ভারতের রাষ্ট্রদূতের কাছে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। যেভাবে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার নিজের চার মন্ত্রীকে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে উদ্ধার কাজে গতি এনেছে, তা সত্যিই অবাক করার মতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভালোদিমির জেলেনস্কির অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বড় বিপর্যয় এড়িয়ে পারমাণবিক চুল্লিগুলির এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। বিকিরণের মাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য প্রতিরোধ বাড়াবেন বলে আশ্বাস দেন। এরই সঙ্গে মার্কিন ও অন্যান্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলির তরফ থেকে পূর্ণ সমর্থনের কথাও তুলে ধরেন।
ইউক্রেনের দূতাবাস ভারতীয় ছাত্রদের আশ্বাস দেওয়ার পর যদিও তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে বাইরে বার হয়নি। ইউক্রেনের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেছেন, গত দুই সপ্তাহ তাদের সকলের জন্য অত্যান্ত ষন্ত্রণাদায়ক ছিল। তাদের কাছে পুরো বিষয়টাই অত্যান্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল।
পুতিন সতর্ক করে বলেছেন ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে এটি করা পুরোপুরি অসম্ভব। তবে এটি অন্যান্য দেশ এই অবরোধ করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের কোনও পদক্ষেপই রাশিয়া বরদাস্ত করবে না। অন্য কোনও দেশ যদি ইউক্রেনের ওপর নো ফ্লাই জোন আরোপ করে তাহলে রাশিয়া সশস্ত্র সংঘাতের পথেই হাঁটবে।
এদিকে এর আগে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন যে রাশিয়ান সেনারা যুদ্ধবিরতি চলাকালীনও তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে।
পোল্যান্ডের বুকে এশিয়ানেট নিউজ। যুদ্ধক্ষেত্রের একদম কাছে এশিয়ানেট নিউজ-এর প্রতিনিধি। পোল্যান্ডের শেল্টার হোমে ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা। কী পরিমাণ আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের, বললেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
শহরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, রাশিয়ানরা যুদ্ধ বিরতি মেনে চলছে না। মরিউপোলই তার সবথেকে বড় প্রমাণ। রাশিয়ার হামলার কারণে এই শহর থেকে নাগরিকদের নিরাপদে বার করে আনার কাজ কঠিন হয়ে গেছে। অনেক সময় উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
মার্কিন ও ন্যাটো কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে, যতক্ষণ না সব শহর ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নিতে আত্মসমর্পণ করবে ততক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়া বোমা বর্ষণ জারি রাখবে। এরইমাঝে যুদ্ধে থামাতে বড় বার্তা দিতে দেখা গেল ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রী দিমিত্র কুলিবাকে