মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু সংখ্যক ইউক্রেনবাসীকে 'টেম্পোরারি প্রোটেক্টেড স্ট্যাটাস' প্রদান করেছে। মূলত যে সকল ইউক্রেনবাসী পয়লা মার্চে বা তার আগে আইনি নথিপত্র ছাড়াই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিল, তাঁদের জন্যই এটা বহাল থাকবে।
রাশিয়ার চোখে চোখ রেখে যুদ্ধ জারি রেখেছে ইউক্রেন। আর এবার পুতিনের সঙ্গে সরাসারি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করার এটাই একমাত্র পথ’।
পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, ভারতীয় নাগরিকরা পাসপোর্ট, আইডি কার্ড, ওষুধ, টর্চ, দেশলাই, লাইটার, মোমবাতি, টাকা, এনার্জি বার, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, জল, ফাস্ট এইড কিট, হেডগিয়ার, মাফলার, গ্লাভস, জ্যাকেট, মোজা ও জুতো সঙ্গে রাখুন।
দ্রুত তৃতীয় পর্যায়ের বৈঠকে বসবে দুই দেশ। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের উদ্ধৃত করে এমনটাই জানাল সংবাদসংস্থা এএফপি।
আজ অষ্টম দিনে পড়েছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ম্যাক্রন মনে করছেন, ইউক্রেনে সবথেকে খারাপ সময়টা এবার হয়তো আসতে চলেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের মতে, আলোচনার নাম করে খালি সময় নেওয়া হচ্ছে। আর পুতিন তাঁর লক্ষ্য পূরণে এখনও অবিচল।
আদিত্য নারায়ণ পাত্র নামে ২১ বছর বয়সী ডাক্তারি পড়ুয়া সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, "বুধবার যখন খারকিভ থেকে আমরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম তখন ঠিক আমাদের সামনে রাশিয়ার একটি বোমা এসে পড়েছিল। আমাদের থেকে বোমার দূরত্ব ছিল ১০০ মিটার।"
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া যে রণনীতি ধারণ করেছে তাঁর বিরোধিতা করতে দেখা গেছে অনেক দেশকেই যার কারণে তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এবার খোদ তাঁরই দেশের ব্যবসায়ী মুখ খুলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে যা দুরন্ত গতিতে ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। রুশ ব্যবসায়ী অ্যালেক্স কোনানিখিন একটি পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে 'গণহত্যার জন্য তিনি রুশ প্রেসিডেন্টকে জীবিত অথবা মৃত সামনে পেতে চান।'
দোদ্যুল্যমান বিশ্বে কারও হাতই ধরেননি মোদী। আর ভারতের এই অবস্থানই যেন পছন্দ হয়েছে পুতিনের। গোঁসা হয়েছে আমেরিকা-ব্রিটেন-জাপানের উপর।
ইতিমধ্যেই রাশিয়ার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়ে নিয়েছে রাশিয়ান সেনা। তার মধ্যে খেরসন এবার নবতম সংযোজন।
রাশিয়া -ইউক্রেন সামরিক অভিযান নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিত তৈরি হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রুশ হওয়ার রুশ আক্রমণের বলি হয়েছেন অন্তত ২ হাজার মানুষ (Russia- Ukraine War)। এছাড়াও অন্তত ৯ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে অন্যত্র ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন। দিন কয়েকের মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দেশ যেন আগুন জ্বলছে। এহেন পরিস্থিতিতে নার্সারি স্কুল থেকে হাসপাতাল, বাড়ি, অফিস , রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ইউক্রেনের কোনও অট্টালিকাই। এই অরাজকতা পরিস্থিতিতে কখনও রুশ বাহিনীর হামলা এড়াতে লুকোত হয়েছে জঙ্গলে, আবার কখনও বিয়েবাড়িতে অনাহুত অতিথিদের মধ্যে ঢুকে পড়তে হয়েছে আশ্রয়ের সন্ধানে। ইউক্রেনের ২ ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়া হর্ষ পানওয়ার ও তার বান্দবী রেবা শ্রীবাস্তবের কাহিনি শুনলে গায়ের লোম খাড়া হবে।