মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউএসএ এবং ইইউ) এই হামলার বিষয়ে রাশিয়ার উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এদিকে প্রশ্ন উঠছে সারা বিশ্বে প্রতিবাদের পর কেন ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেলে শেয়ার করা একটি অডিও ক্লিপে এই ঘটনাটি উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার স্নেক দ্বীপে মোতায়েন ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং একজন রাশিয়ান নৌ অফিসারের মধ্যে এই কথোপকথন স্পষ্টভাবে সামনে এসেছে।
২৪ ঘন্টারও কম সময়ে, কয়েক ডজন টার্গেট বানিয়ে, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলীয় লুহানস্ক, সামি, খারকিভ, ছেরনিহিভ এবং ঝিতোমির অঞ্চলে হামলা চলছে।
২০১৪ সালে যখন প্রথমবার রাশিয়া ইউক্রেনে প্রবেশ করে, তখন প্রেসিডেন্ট পুতিন সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বেশ বড় একটি এলাকার নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। বর্তমানে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চালানোর পর প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি নিয়ে পুতিনের কড়া নিন্দা করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি টুইটারে বলেছেন, "আমাদের সেনা তাদের জীবন দিচ্ছে যাতে ১৯৮৬ সালের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি না হয়, এটি সমগ্র ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা।"
আমেরিকার মিত্র দেশগুলি চারটি বড় রাশিয়ান ব্যাংকের সম্পদের লেনদেন আটকে দিয়েছে। বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করেছে। রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পথ রাশিয়ার উচ্চ প্রযুক্তির আমদানির অর্ধেকেরও বেশি বন্ধ করে দেবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
ইউক্রেনও পাল্টা ৫০ রুশ সেনাকে হত্যার কথা বলেছে। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করে ফেলেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশ শাসন শুরু করার পর এখন ২৩ বছর পার হয়ে গেছে। মজার ব্যাপার হল এই সময়ে ভারত দেখেছে তিনজন প্রধানমন্ত্রীর শাসন, আমেরিকা দেখেছে চারজন প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার কাছে ৬ হাজারের বেশি পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে, যার কারণে রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোতে আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। তবে একটা সময় ছিল যখন ইউক্রেনেরও বড় সংখ্যক পারমাণবিক অস্ত্র ছিল।