সংক্ষিপ্ত

মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করছে চিন। তবে ইসরো ও নাসার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সহজ নয়।

মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে মুখ পুড়ল চিনের। উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পরেই ভেঙে পড়ল টিয়ানলং-৩ রকেট। স্পেস পায়োনিয়ার বা বেজিং টিয়ানবিং টেকনলজি কোম্পানির তৈরি এই রকেটে কাঠামোগত ত্রুটি দেখা যায়। এই কারণে উৎক্ষেপণের কয়েক মুহূর্ত পরেই ভেঙে পড়ে এই রকেট। চিনের গংগি অঞ্চলে পাহাড় থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় টিয়ানলং-৩ রকেট। কিন্তু আকাশে ওড়ার পরেই রকেটের মুখ মাটির দিকে ঘুরে যায়। রকেটে বিস্ফোরণও হয়। এরপরেই ভেঙে পড়ে রকেট। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। রকেট ভেঙে পড়ায় ওই অঞ্চলে আগুন ধরে যায়। তবে দমকল কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এই ঘটনায় চিনের মহাকাশ গবেষণার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

চিনে মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারি সংস্থা

ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সংস্থাই মহাকাশ গবেষণা বা রকেট তৈরির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, চিনে একাধিক বেসরকারি সংস্থা রকেট তৈরি করে চলেছে। মহাকাশ অভিযানের খরচ কমানোর লক্ষ্যে একাধিকবার ব্যবহার করা যায় এমন রকেটের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। স্পেস পায়োনিয়ার সংস্থাও একই পথে হাঁটছে। এই পদ্ধতিতে চলতে গিয়ে রকেটের মানের সঙ্গে আপস করছে চিনা সংস্থাগুলি। এর ফলেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। টিয়ানলং-৩ রকেটের অংশগুলি যেখানে ভেঙে পড়েছে, সেখানে জনবসতি না থাকায় কারও প্রাণহানি হয়নি। তবে চিনের মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে এই ঘটনা লজ্জাজনক। ভেঙে পড়া রকেট স্কাই ড্রাগন ৩ নামেও পরিচিত। এই রকেটের পুরোটা অবশ্য একাধিকবার ব্যবহার করা যায় না। শুরু থেকেই এই রকেটে ত্রুটি ছিল। সেই কারণেই ভেঙে পড়েছে।

 

 

চিনে একাধিকবার ভেঙে পড়েছে রকেট

চিনে রকেট ভেঙে পড়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও রকেট ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে। কিন্তু ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে রকেট উৎক্ষেপণ করা হল, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতের মহাকাশ স্টেশন তৈরির লক্ষ্য ইসরোর, ভারতীয়দের চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা

ফুটো হয়ে গিয়েছিল রাশিয়ান মডিউল! বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন

Space Tour: প্রথম ভারতীয় পাইলট হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণে গোপীচাঁদ ঠোটাকুরা