সংক্ষিপ্ত

Russia-Ukraine war: রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine war) যুদ্ধবিরতি (ceasefire) প্রস্তাব নিয়ে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধে দুই যুযুধান দেশের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US)।

 

Russia-Ukraine war: রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine war) যুদ্ধবিরতি (ceasefire) প্রস্তাব নিয়ে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধে দুই যুযুধান দেশের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US)। রবিবার রাতে প্রথমে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পশ্চিম বিষয়ক দূত এবং রুশ-ইউক্রেন সংঘাত সমাধানের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক স্টিভ উইটকফ। সোমবার তিনি বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে অসামরিক এলাকা, জ্বালানি ও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে দ্রুত হামলা বন্ধ করতে হবে দুই দেশকে। পাশাপাশি কৃষ্ণসাগরের বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল ও পশ্চিম ইউরোপে ইউক্রেনকে শস্য রফতানির সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ এই আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

উমেরভ জানিয়েছেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জানিয়েছেন তাঁরা জ্বালনি ইস্যু সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। যদিও রিয়াধের বৈঠক চলাকালীন রবিবার রাতে থেকেই ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়ে গেছে রাশিয়া। পাল্টা জবাব দিয়েছে কিয়েভও।

তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও যুদ্ধ থামাতে দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। সৌদিতে গত দুই মাসে এই নিয়ে দুইবার বৈঠক হল রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে। আগামী দিনে আরও বৈঠক হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রিয়াধের বৈঠকে যোগ দেয়নি ইউক্রেন। এর পরে গত সপ্তাহে জেড্ডায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ৩০ দিনের ‘আংশিক যুদ্ধবিরতি’র প্রস্তাব মেনে নেয় পুতিনের সরকার। যদিও কার্যক্ষেত্রে অসামরিক এলাকা এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে হামলা বন্ধের প্রতিশ্রুতি মস্কো পালন করেনি বলে কিয়েভের অভিযোগ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল রাশিয়া আর ইউক্রেন যুদ্ধ। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।