সংক্ষিপ্ত
বড় ঘোষণা করল ‘হু’। এবার ‘ট্যালক’কে “সম্ভবত কার্সিনোজেনিক” হিসেবে আখ্যা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
বড় ঘোষণা করল ‘হু’। এবার ‘ট্যালক’কে “সম্ভবত কার্সিনোজেনিক” হিসেবে আখ্যা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গবেষণার পর, ৫ জুলাই এই সিদ্ধান্ত জানায় তারা। ‘ট্যালককে’ মানুষের জন্য “সম্ভবত কার্সিনোজেনিক” হিসেবে ঘোষণা করেছে ‘হু’। এই ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করার ফলে, ডিম্বাশয়ে ক্যান্সারের আশঙ্কা রয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডব্লিউএইচওর (WHO) ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) জানিয়েছে যে, সিদ্ধান্তটি “সীমিত প্রমাণ”-এর উপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে। এই ট্যালক মানুষের ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এটি মানব কোষে কার্সিনোজেনিক জনিত লক্ষণের জন্য দায়ী।
ক্যান্সার এজেন্সি স্বীকার করে নিয়েছে এমন অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ধারাবাহিকভাবে মহিলাদের যৌনাঙ্গে এই ট্যালক পাউডার ব্যবহারের ফলে তাদের ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইএআরসি (IARC) বলেছে যে, বেশিরভাগ মানুষ বেবি পাউডার বা প্রসাধনী আকারে ট্যালকের সংস্পর্শে চলে আসে। ট্যালকের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এক্সপোজার ঘটে যখন ট্যালককে খনন করা হয়। অর্থাৎ, প্রক্রিয়াজাত করা হয় বা পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তখন থেকেই সমস্যার শুরু হয়।
এএফপির উদ্ধৃতি অনুযায়ী, কেভিন ম্যাককনওয়ে, যিনি গবেষণায় জড়িত ছিলেন ওপেন ইউনিভার্সিটির একজন পরিসংখ্যানবিদ হিসেবে। তিনি সতর্ক করেছেন যে, যে IARC-এর মূল্যায়নের জন্য, “সবচেয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাটি আসলে বিভ্রান্তিকর।”
তাঁর মতে, যেহেতু বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণমূলক ছিল এবং তাই কার্যকারণ প্রমাণ করতে পারেনি। তিনি বলেছেন, “এমন কোনও বিষয় নেই যে, ট্যালক ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।”
গত ১৫ মে, জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল অনকোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যৌনাঙ্গে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।