সংক্ষিপ্ত
গড়িয়াহাট জোড়া খুনে মা ও ছেলের যোগ। ডায়মন্ডহারবারে গিয়ে ২জনকে আটক করল গোয়েন্দারা। বাড়ি বিক্রি নিয়ে মত পার্থক্যের জেরে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকিকে খুন হতে হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিল পুলিশ।
গড়িয়াহাট জোড়া খুনে (Gariahat double murder case) মা ও ছেলের যোগ। (Diamond Harbour) ডায়মন্ডহারবারে গিয়ে ২জনকে আটক করল গোয়েন্দারা। বাডড়ি বিক্রি নিয়ে মত পার্থক্যের জেরে কর্পোরেট কর্তা (Subir Chaki) সুবীর চাকিকে খুন হতে হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিল পুলিশ (Kolkata Police)। বাড়ির ব্রোকার এবং দালালদের জেরা করার জন্য একটা লিস্ট বানায় পুলিশ। শেষ অবধি এদিন গড়িয়াহাট জোড়া খুনের তদন্তে এক মহিলা এবং তাঁর ছেলেকে আটক করেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা (Lal Bazar Homicide Department)।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে জমি দালালদের সন্দেহ করলেও মোবাইলের সূত্রে ধরে অন্য একটি তথ্য পান লালবাজারের গোয়েন্দারা। সেই সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাতে ডায়মন্ডহারবার চলে যান গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সকালে ডায়মন্ডহারবারের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দুই জনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্য়ে সুবীর চাকির বাড়িতে আয়ার কাজ করতেন একজন বলে জানা গিয়েছে। ওই মহিলার ভাইকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন ওই মহিলা এবং তাঁর ছেলে তুলে আনা হয়েছে ডায়মন্ডহারবার থানায়। পুলিশের অনুমান সুবীর চাকীর বাড়ির দালাল হিসেবে কাজ করছিলেন এরা। গড়িয়াহাট জোড়া খুনে এদের ভূমিকা থাকতে পারে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।
"
১৭ অক্টোবর রবিবার মধ্যরাতে গড়িয়াহাট থানা এলাকার কাকুলিয়া রোডের একটি বাড়ির ভেতর থেকে দুটি দেহ উদ্ধার হয়। একটি কর্পোরেট সংস্থার শীর্ষকর্তা সুবীর চাকী এবং তার গাড়িচালক রবিন মন্ডল এর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। তাঁদের গলায়, পায়ে এবং হাতে ধারালো অস্ত্রের দাগ পাওয়া যায়, যার থেকে অনুমান নিশংসভাবে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। সোমবার দুপুরেই এই ঘটনার তদন্ত হাতে নিয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা। তারপর থেকে দফায় দফায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডকে। দেখা যায়, ডগ স্কোয়াডের একটি গোয়েন্দা কুকুর কাকুলিয়া রোডের যে বাড়ি থেকে দেহ মিলেছিল, সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌড়াতে শুরু করে সোজা বালিগঞ্জ স্টেশনের দিকে। এরপর বালিগঞ্জ স্টেশনের ঢুকে ১ এবং ১ নম্বর প্লাটফর্মে উঠে কুকুরটি বসে পড়ে। তার কিছুক্ষণ পর সে ফিরে চলে আসে গড়িয়াহাটের ওই ঘটনাস্থলেই। যার থেকে গোয়েন্দাদের অনুমান, খুন করার পর আততায়ীরা ওই পথেই বালিগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছে ট্রেন ধরে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। এছাড়াও সুবীর চাকীর ওই পৈত্রিক বাড়ির আশেপাশের একাধিক সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বাড়িটি সহ গোটা এলাকার থ্রিডি মডেলিং করেন গোয়েন্দারা। সেই থ্রিডি মডেলিং এর মাধ্যমে লালবাজারে বসেই তদন্তে নজর রাখছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ কর্তারা।
আরও পড়ুন, 'প্রয়োজনে বাংলাদেশে প্রতিনিধি দল পাঠাবে দিল্লি', হিংসাকাণ্ডে হুঁশিয়ারী নিথীথ-শুভেন্দুর
লালবাজার সূত্রে খবর, এই খুনের ঘটনার তদন্তে আরো বেগ পেতে হচ্ছে খুন হওয়া সুবীর চাকীর মোবাইল ফোনটি খুঁজে না পাওয়ায়। কারণ ওই দুজনকে খুন করার পর, সুবীর বাবুর মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয় আততায়ীরা। যদিও তার মোবাইলের কল ডিটেলস রেকর্ড বার করে গোয়েন্দারা পরীক্ষা করে দেখছেন, ঘটনার আগে কার কার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন তিনি। তাদের মধ্যে কেউ রবিবার রাতে ঘটনাস্থলের সুবির বাবুর কাছে এসেছিল কিনা, তা জানতে প্রত্যেকের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা হয়। আর তারপরেই বুধবার মোবাইলের সূত্রে ধরেই ডায়মন্ডহারবারের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মা ও ছেলেকে আটক করে পুলিশ।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে