সংক্ষিপ্ত
গুলি চালানোর পর আর ওই এলাকায় দাঁড়ায়নি দুই বাইক আরোহী। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় তারা। এরপর সঙ্গে সঙ্গে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পঞ্চমীর (Panchami) সন্ধ্যা। রাস্তায় তখন বেশ ভিড়। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন (Pandal Hopping) বহু মানুষ। আর ঠিক সেই সময়ই রেড রোডে (Red Road) শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দু'জনের বিরুদ্ধে। বাস্কেটবল ক্লাবের (basketball club) কাছে এই গুলি চলে বলে অভিযোগ। এনিয়ে ময়দান থানায় (Maidan Police Station) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় কেউ আহত হননি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রেড রোডের উপরে মোহনবাগান ক্লাবের পাশেই অবস্থিত বাস্কেটবল ক্লাব। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চমীর সন্ধ্যায় রেড রোডে একটি বাস্কেটবল ক্লাবের সামনে কয়েকজন অনুশীলন করেছিলেন। সেখানে বাস্কেটবলের প্রশিক্ষকও ছিলেন। তারই মধ্যে দু'জন বাইক আরোহী সেখানে আসে। বাস্কেটবল শিখতে চায় বলে প্রশিক্ষককে জানায় তারা। প্রশিক্ষকের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ তাদের কথাও হয়। অভিযোগ, তারইমধ্যে আচমকা গুলি চালায় ওই দু'জন।
আরও পড়ুন- পঞ্চমীর রাতে গুলি চলল গীতালদহে, ‘গোষ্ঠী সংঘর্ষে’ মৃত ২ তৃণমূল কর্মী
গুলি চালানোর পর আর ওই এলাকায় দাঁড়ায়নি দুই বাইক আরোহী। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় তারা। এরপর সঙ্গে সঙ্গে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। খবর পেয়েই থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা ওই ক্লাব চত্বরে পৌঁছান। তদন্তও শুরু করা হয়েছে। কিন্তু, প্রাথমিকভাবে পুলিশের বক্তব্য ওই এলাকায় কোনও গুলি চলার প্রমাণ এখনও তাঁদের হাতে আসেনি। তবে শূন্যে গুলি চালানোয় কেউ আহত হননি।
আরও পড়ুন- পুজোয় কলকাতায় বড়সড় ডাকাতির ছক বানচাল, গ্রেফতার ১
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য পুলিশের তরফে এখনও মুখ খোলা হয়নি। সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে কীভাবে রেড রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গুলি চালিয়ে দু'জন পালিয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষত দুর্গাপুজোর কারণে শহরের সব জায়গায় যেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, সেখানে এই ধরনের একটা ঘটনা কীভাবে ঘটল তা বুঝতেই পারছেন না পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- অষ্টমী নয় ষষ্ঠী থেকেই ভাসতে পারে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গ দেখুন কী বলছে আবহাওয়া দপ্তর
সাধারণত রেড রোডে কড়া নজরদারি থাকে। রাস্তার প্রতিটি মোড়েই রয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। সেই সব এড়িয়ে কীভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। এদিকে এবার উৎসবের মরশুমে রাজ্যে হামলার আশঙ্কা রয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় বাংলায় হামলার চালানোর আশঙ্কার জেরে বাড়তি সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। পুলিশকে আরও নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।