সংক্ষিপ্ত

রবিবার সন্ধ্যায় গীতালদহ ২ নম্বর ব্লকের মরাকুঠি এলাকায় ব্রিজের কাছে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। শুরু হয় সংঘর্ষ। গীতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দখল ঘিরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। 

পুজো (Durga Puja) মিটলেই উপনির্বাচন (By-Election) রাজ্যের চারটি কেন্দ্রে। তার মধ্যে রয়েছে দিনহাটাও (Dinhata)। আর সেই ভোটের আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের (Clash between TMC Group) অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের দিনহাটা। পঞ্চমীর রাতে সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে (TMC Worker Death)। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরেই এই ঘটনা বলে জানা গিয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যায় গীতালদহ ২ নম্বর ব্লকের মরাকুঠি এলাকায় ব্রিজের কাছে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। শুরু হয় সংঘর্ষ। গীতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দখল ঘিরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক বার অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তৃণমূলের অন্য এক গোষ্ঠী। এরপর বিষয়টি নিয়ে ৪ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টে তলবি সভা ছিল। কিন্তু দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য তা বাতিল করা হয়।

আরও পড়ুন- পঞ্চমীর সন্ধ্যায় রেড রোডে চলল ‘গুলি’, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা

ব্রিজের উপর তৃণমূলের দুই দলের সংঘর্ষ শুরু হয়। ধারাল অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে  দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ এবং বিএসএফ জওয়ানরা। সেখানেই মৃত্যু হয় মোজাফফর হোসেন নাম এক তৃণমূল কর্মীর। অন্যদিকে অন্য এক জখম তৃণমূল কর্মী মান্নান হককে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন তিনি। কোচবিহার নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

আরও পড়ুন- অষ্টমী নয় ষষ্ঠী থেকেই ভাসতে পারে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গ দেখুন কী বলছে আবহাওয়া দপ্তর

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেছেন, "বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে মরাকুঠি গ্রামে গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বিষয় নিয়েই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ জন গুরুতর জখম হয়েছেন।" এই সংঘর্ষের জেরে রবিবার রাতেও উত্তপ্ত ছিল ভারত বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্তের গীতালদহ। রাতভর সেখানে ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ১১ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আজ মৃত দুই তৃণমূলকর্মীর ময়নাতদন্ত হবে।

আরও পড়ুন- পুজোয় কলকাতায় বড়সড় ডাকাতির ছক বানচাল, গ্রেফতার ১

এ প্রসঙ্গে সিতাইয়ের তৃণমূল নেতা নুর আলম বলেন, "রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। যাঁরা তৃণমূলকে জয়যুক্ত করেছেন, তাদের উপর যারা বিজেপির দালালি করেছেন তারা আঘাত করেছে। আর যারা বিধায়কের লোক রয়েছে, তাদের প্রাণের মারার চেষ্টা করেছে।"

YouTube video player