সংক্ষিপ্ত

ওই পাঁচজনই শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। এই সংগঠন বেশ কিছু দিন ধরেই শিক্ষক বদলি ইস্যুতে আন্দোলন করছে। এর আগে নবান্নের সামনে এমনকী ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা।

বদলি করা হচ্ছে 'অন্যায়ভাবে'। তার প্রতিবাদেই আজ সকালে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন পাঁচজন শিক্ষিকা। তাঁদের দাবি ছিল, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হোক। কিন্তু, পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে পুলিশের সামনেই আচমকা বিষ পান করেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গেই অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। এরপর তাঁদের পাঁচজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ওই পাঁচজনই শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। এই সংগঠন বেশ কিছু দিন ধরেই শিক্ষক বদলি ইস্যুতে আন্দোলন করছে। এর আগে নবান্নের সামনে এমনকী ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। শিক্ষকদের অভিযোগ, আন্দোলন করার শাস্তি হিসেবেই বদলি করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এই অভিযোগ নিয়েই মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবস পালনের পর রাস্তায় পড়ে নেতাজীর ছবি, কাঠগড়ায় শাসক দল, ধিক্কার শুভেন্দুর

আরও পড়ুন- 'চেয়ারম্যান কি বিরোধীরাই হন', পিএসি মামলায় রাজ্যের কাছে জানতে চাইল আদালত

এঁদের সবার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়। অভিযোগ, তাঁদের বেআইনিভাবে কোচবিহারের দিনহাটাতে বদলি করা হয়েছে। এত দূর চাকরি করতে যাওয়া তাঁদের পক্ষে কোনওভাবেই সম্ভব নয়। সেই কারণে বাড়ির কাছে বদলির দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। নিজেদের সমস্যার কথা বলার জন্যই ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু, তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। ক্রমে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তারপর পুলিশের সামনেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই পাঁচ শিক্ষিকা। 

আরও পড়ুন- টাকা দিলে করোনা টিকার কুপন দিচ্ছেন পুলিশ অফিসার, রায়গঞ্জে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

বিষপানের পর অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান তাঁরা সবাই। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে বিধাননগর মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শিখা দাস, জোৎস্না টুডুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অন্যদিকে পুতুল জানা মণ্ডল, ছবি দাস ও অনিমা নাথকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এঁরা প্রত্যেকেই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকা। 

আরও পড়ুন- "রং দেখে ত্রাণ বিলি, তালিবানি মানসিকতা রাজ্য সরকারের", আক্রমণ অগ্নিমিত্রার

শিক্ষিকাদের বিষ পানের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির বক্তব্য, শিক্ষামন্ত্রীর সবকিছুর জন্য সময় আছে। তিনি ত্রিপুরায় যেতে পারছেন। রাজনীতি করতে পারছেন। অথচ শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না।

YouTube video player