সংক্ষিপ্ত

মনোহরপুকুরে ১৫ বছর দাম্পত্যের পর স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী, মেয়ের উপরেও চালালেন ধারালো অস্ত্রের কোপ।  গড়িয়াহাট জোড়া খুনেরকাণ্ডের পর এবার মনোহরপুকুর হত্যাকাণ্ডে ছড়াল আতঙ্ক। 

মনোহরপুকুরে (Manohar Pukur Murder Case) ১৫ বছর দাম্পত্যের পর স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী। মেয়ের উপরেও চালালেন ধারালো অস্ত্রের কোপ। তারপর নিজেই ফোন করে থানায় খুনের খবর দিলেন অভিযুক্ত। (gariahat Double Murder Case) গড়িয়াহাট জোড়া খুনেরকাণ্ডের পর এবার মনোহরপুকুর হত্যাকাণ্ডে ছড়াল আতঙ্ক। বেকারত্ব নাকি অসুখী দাম্পত্যজীবন, স্ত্রীকে খুনের আসল কারণ ঘিরে বেড়েই চলেছে ধোঁয়াশা। তদন্তে নেমেছে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ (Rabindra Sarobar Police Station) ।

আরও পড়ুন, Weather- শহরে আজ সোনা রোদের আদর, পারদ নেমে শীতের আমেজ কলকাতায়

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম অরবিন্দ বাজাজ। দক্ষিণকলকাতার মনোহরপুকুর এলাকার দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা তিনি। স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা এবং একমাত্র মেয়ে আদ্রিজাকে নিয়ে থাকতেন আবাসনে। শ্বশুরের সিমেন্টের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন অরবিন্দ। জেরায় জানা যায় যে, এবং শ্বশুরের ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন। আর এই টাকা দিয়েই সংসার চালাতে হত তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অরবিন্দ নিজেই ১০০ ডায়ালে ফোন করেন রবীন্দ্র সরোবক থানায়। তিনি নিজেই জানান, স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করেছেন। ফোন পেয়ে প্রথমে অবাক হয়ে যায় রবীন্দ্র সরোবর থানাও। তবে তারপরে একমুহূর্তও দেরি না করে ঘটনাস্থলে আসে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় অরবিন্দের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার রক্তাক্ত দেহ। মেয়ে আদ্রিজার শরীরেও একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তড়িঘড়ি করে আশঙ্কাজনক  অবস্থায় মেয়ে আদ্রিজাকে এসএসকেম-এ ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত সূত্রে খবর, দুই বছর ধরে কোনও কাজ ছিল না অরবিন্দের। সংসারে আর্থিক অনটন চলছিল। মানসিক অবসাদের জেরে খুন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এদিকে মুদ্রার অপরপিঠে উঠে আসে আরও একটা খবর। স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা তাঁকে হাতে রাখতে চেয়েছিলেন। তাঁর কথায় উঠতে-বসতে বাধ্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। আর স্ত্রীকে ইন্ধন যোগাত তাঁর বাপেরবাড়ির সদস্যরাও। এটাই মেনে নিতে পারছিলেন জামাই অরবিন্দ।

আরও পড়ুন, Tripura-আদালতের রায়ে আজই অভিষেকের সভা ত্রিপুরায়, বিপ্লবকে হুঁশিয়ারি তৃণমূলের যুবরাজের

খুনের কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক দেবাশিষ কুমার। অভিযুক্তের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। বিধায়ক জানিয়েছেন, এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। ওর বাবার সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক ছিল। বলেছে, আমি পেশাদার খুনি নই। রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। অরবিন্দ বাজাজকে আটক করে জেরা করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, শহরে খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। রাজনৈতিক খুন ব্যতীত একের পর এক নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটেই চলেছে কলকাতায়। সম্প্রতি উৎসবের মরশুমেই  গড়িয়াহাট জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। গড়িয়াহাটের ৭৮-এ কাঁকুলিয়া রোডের একটি দোতলা বাড়ি থেকে গভীর রাতে দুই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার  করা হয়। তাঁদের কবজি, ঘাড় এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। একটি দেহ দোতলার ঘরে পড়েছিল। অন্য দেহটি পড়েছিল বাড়ির একতলায়। মৃতদের নাম সুবীর চাকি ও রবীন মণ্ডল। গড়িয়াহাটের তদন্ত মিটতে না মিটতেই আর একই মাসে ফের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড কলকাতায়।

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

YouTube video player