সংক্ষিপ্ত
- হাওড়ার হাসপাতাল থেকে কোভিড আক্রান্ত রোগী নিখোঁজ
- নিখোঁজ রোগীকে খুঁজে বেড়াচ্ছন রোগীর পরিবারের সদস্যরা
- প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে
- দায়িত্ব সারার অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে
সরকারি হাসপাতাল থেকে কোভিড আক্রান্ত রোগী নিখোঁজ। কাঠগড়ায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাল্টিকুড়ি ই এস আই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে নিখোঁজের অভিযোগ করে দায়িত্ব সারার অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বছর ৭২ বয়সী নিখোঁজ রোগীকে খুঁজে বেড়াচ্ছন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। হাসপাতালের 'দায়ভার নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
রোগীর আত্মীয় সূত্রের খবর বাজেশিবপুরের বাসিন্দা স্বপন ঘোষকে শারীরিক অসুস্থতার কারনে গত ২০ শে এপ্রিল তাকে ভর্তি করা হয় হাওড়া সদর হাসপাতালে। কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় তাকে বাল্টিকুড়ির এই ই এস আই. হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে রোগীর আত্মীয়দের বলা হয় রোগীর সম্বন্ধে দু একদিন পরে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। তার মাঝখানে বিশেষ প্রয়োজন হলে হাসপাতাল থেকেই পরিবারের সদস্যদের ফোন করা হবে। সেইমতো ২৩ এপ্রিল রাত্রে রোগী সম্পর্কে হাসপাতলে ফোন করে জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যকে বলা হয়, ২২ তারিখে রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁরা যেন পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। পরিবারের সদস্যরা সেই রাতেই বাঁকড়া ফাঁড়িতে যোগাযোগ করেন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তাঁরা ফাঁড়িতে পৌঁছানোর প্রায় মিনিট দশেক আগে হাসপাতাল থেকে এই খবর পুলিশের কাছে লিপিবদ্ধ করানো হয়েছে। যদিও হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল, ৩১ নম্বর শয্যার চিকিৎসাধীন রোগী ২২ তারিখ নিখোঁজ হয়েছেন।
বারেবারে হাসপাতালে যোগাযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। তাতে কোনও সুরাহা মেলেনি বলেই রোগীর আত্মীয় দের তরফে অভিযোগ। বরং সরকারি হাসপাতাল থেকে হারিয়ে যাওয়া চিকিৎসাধীন রোগীকে খঁজে বের করার দায় উল্টে পরিবারের উপরেই চাপিয়ে দিচ্ছে এই সরকারি হাসপাতাল। কেবল মাত্র মিসিং ডায়েরি করে দায় মুক্ত হতে চাইছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের তরফ থেকে। এ বিষয়ে হাওড়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস জানিয়েছেন বিষয়টি তাঁর অজানা, বিষয়টি তিনি জেনে তারপরে প্রয়োজন হলে তদন্ত করে দেখবেন।
আরও পড়ুন, কোভিডে টোকেন নয়-স্মার্ট কার্ডই ভরসা, সোমবার থেকে মেট্রো কমছে কলকাতায়
প্রসঙ্গত এই সরকারি কোভিড হাসপাতাল থেকেই রোগীদের উপরে মারধরের অভিযোগ সহ কোভিডে মৃত রোগীর মৃতদেহ বদলেরও অভিযোগ ওঠে সম্প্রতি। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যে নজরদারি থাকার কথা জেলার কোভিড হাসপাতালগুলোতে সেই নজরদারি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি ঘুশুড়ির আরেক কোভিড হাসপাতাল টি এল জয়সওয়াল থেকে জীবিত কোভিড রোগীকে মৃত বলেও ঘোষণা করে দেওয়া হয় সম্প্রতি। সেই নিয়েও রোগীর পরিবারে যথেষ্ট ক্ষোভের সঞ্চার হয়।