সংক্ষিপ্ত

  • পুজোর পর বিপদ আরও বাড়বে না তো?
  • করোনা আবহে দুর্গোৎসব বন্ধের আর্জি
  • হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের আইনজীবীর
  • মামলা শুনানি বৃহস্পতিবার

রুশি পাঁজা:  উৎসবে মরশুমে করোনার আতঙ্ক। এ বছর রাজ্যে দুর্গোপুজা বন্ধের আরজি জানিয়ে এবার মামলা দায়ের করা হল  কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। 

আরও পড়ুন:,রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিতে ফি মকুবের নির্দেশ, অভিভাবকদের স্বস্তি দিল হাইকোর্ট

পুজোর পর বিপদ আরও বাড়বে না তো? এ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সরকারের। তবে উৎসব বন্ধ রাখতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অতিমারী আবহেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপুজোর অনুমতি দিয়েছেন তিনি। আর তাতেই প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এখন থেকেই রাস্তায় কার্যত মানুষের ঢল নেমেছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকই শুধু নয়, সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফেও। কলকাতায় একটি বারোয়ারি পুজো উদ্বোধনের পর, সোমবার পুজো কমিটিগুলিকে করোনা বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন মুখ্য়মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ঠাকুর দালানে ভোগের নামে পৌঁছত বিপ্লবীদের জন্য খাবার, চন্দননগরের হরিহর শেঠের বাড়ির দুর্গাপুজো আজও উল্লেখযোগ্য

এখন প্রশ্ন হল, বিপদের আশঙ্কা যখন এতটাই বেশি, তাহলে এবছর দুর্গাপুজো বন্ধ রাখা হোক। কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন অজয় কুমার দে নামে এক ব্য়ক্তি।মামলাকারীর বক্তব্য, ওনাম উৎসবের পর কেরলের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ রাজ্যেও যদি সাড়ম্বরে দুর্গাপুজো পালিত হল, তাহলে একইভাবে করোনা সংক্রমণের হার আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বস্তুত, করোনা মোকাবিলায় মহারাষ্ট্রেও গণেশ পুজো ও মহরম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তাহলে এ রাজ্যেইবা ব্যতিক্রম ঘটবে কেন? বাংলায় দুর্গাপুজো বন্ধের নির্দেশ জারির করার জন্য হাইকোর্টে কাছে আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী।