সংক্ষিপ্ত
- বুধবার রাতে মুকুলের স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ
- বিষয়কে গুরুত্বই দিতে নারাজ মুকুল রায়
- দিলীপ ঘোষ কোথায় কেন গিয়েছিলেন জানেন না বলে জানিয়েছেন
- এই ঘটনার মধ্যে রাজনীতি দেখতে চান না মুকুল
দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায় যে একে অপরের প্রতি গুণমুগ্ধ নন সেকথা অনেকেই জানেন। বিজেপি ছাড়াও বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরাও একথা ভালোভাবেই জানেন। আর এবার ফের একবার প্রকাশ্যে এল বিষয়টি। বুধবার রাতে মুকুলের স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও সেই বিষয়কে গুরুত্বই দিলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। এ প্রসঙ্গে মুকুল বলেন, "দিলীপ ঘোষ কোথায়, কেন গিয়েছিলেন তা আমি জানি না। উনি যে সময় হাসপাতালে গিয়েছিলেন সেই সময় শুভ্রাংশুও সেখানে ছিল না। উনি আমাকে বা অন্য কাউকে বলে তো হাসপাতালে যাননি। কাকে দেখতে গিয়েছিলেন, তা-ও আমি জানি না। কেউ অসুস্থ হলে কেউ তাঁকে দেখতে যেতেই পারেন। তাতে আপত্তির কিছু নেই। এর মধ্যে রাজনীতি দেখাও অনুচিত হবে।"
করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১১ মে থেকে হাসপাতালে ভর্তি মুকুল পত্নী কৃষ্ণাদেবী। এরপর ৩ জুন সন্ধেয় তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর কথা হয়েছিল। তাঁর এই সফরের কথা জানতেন না কেউই। বলা যেতে পারে, তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে খানিকটা হকচকিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। তার আগে পর্যন্ত বিজেপির কোনও নেতাকে হাসপাতালে যেতে দেখা যায়নি। কিন্তু, অভিষেকের সফরের পরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য বিজেপি। ওইদিন রাতেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে যান দিলীপ ঘোষ।
শোনা গিয়েছিল, অভিষেকের জন্যই নাকি দল ছেড়েছিলেন একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়। যদিও তা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও পক্ষকেই মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। এরপর একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময় মঞ্চ থেকে মুকুলের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায়। বলেছিলেন, "শুভেন্দুর মতো মুকুল অতটা খারাপ নয়।" আর তারপরই বুধবার অভিষেকের এই ঝটিকা সফর বিজেপি নেতৃত্বকে ভাবিয়ে তুলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকে অনেকটাই নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছেন মুকুল। তেমন সক্রিয়ভাবে কোথাও দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। আর তার মধ্যেই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে তাঁর এই মন্তব্য বেসুরো ঠেকছে মুকুল ঘনিষ্ঠদের কানেও।
যদিও এই সফর নিয়ে রাজনীতি করার মতো কিছুই নেই বলে জানিয়েছেন স্বয়ং অভিষেকও। তবে অভিষেকের এই সফর নিয়ে খুশি শুভ্রাংশু। তিনি জানিয়েছেন, "আমাদের দলের কেউ দেখতে এলে বা প্রধানমন্ত্রী বাবাকে ফোন করলেও তাঁরা আমাদেরই দলের নেতা। কিন্তু অভিষেক তো বিরোধী দলের মানুষ। ও যে দৃষ্টান্ত তৈরি করল, তা অভূতপূর্ব। ও ছোটো থেকে মাকে দেখেছে। কাকিমা বলে ডাকে। তাই মায়ের গুরুতর অসুস্থতার কথা শুনে দেখতে চলে এসেছে।"