সংক্ষিপ্ত
বুধবার সকালে প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছিল আহিরিটোলার একটি বাড়ি। পুরনো বিপজ্জনক তকমা পাওয়া বাড়িটি ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয়েছিল এক আড়াই বছরের শিশুর।
সন্তান হারানোর যন্ত্রণা কোনও মায়ের (mother) কাছেই ভুলে যাওয়ার নয়। তবুও এক সন্তানের মৃত্যুর আর্তনাদের কষ্ট কিছুটা হলেও কমিয়ে দিতে পরবে সদ্যোজাতর কান্না। একই দিনে এক সন্তান হারিয়ে আরেক সন্তানের জন্ম দিলেন কলকাতার এই মা। আহিরিটোলায় ভেঙে পড়া বাড়ির (Ahiritola house collapsed) চুন-সুরকিতে মিশে গেল কান্না আর হাসি মেলানো মুহূর্তগুলি।
Afghan Crisis: তালিবানদের পাল্টা আমরুল্লাহ সরকার, বিদেশ থেকে নতুন আফগান সরকারের ঘোষণা
বুধবার সকালে প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছিল আহিরিটোলার একটি বাড়ি। পুরনো বিপজ্জনক তকমা পাওয়া বাড়িটি ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয়েছিল এক আড়াই বছরের শিশুর। নিহত শিশুটির ঠাকুমাও মৃত্যু হয়েছিল হাসপাতালে। নিহত শিশুটির মা তখন ছিল গর্ভাবতী। গুরুতর আহত অবস্থায় কোনও রকমে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে ভগ্নস্তূপ থেকে। ভর্তি করা হয় আরজিকর হাসপাতাল। এদিন বিকেলে সেখানেই তিনি জন্ম দেন আরও এক কন্যা সন্তানের । বড় মেয়েকে হারানোর দিনেই কোল আলো করে এল আরও এক কন্যা। আরজিকর হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে মা ও সন্তান দুজনের অবস্থাই স্থিতিশীল। মাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। সন্তানকে রাখা হয়েছে নার্সারিতে।
TMC: গোয়াতে উড়ছে ঘাসফুলের পতাকা, কলকাতায় এসে মমতার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ ফালেইরোর
Bhabanipur bypoll: কড়া নিরাপত্তা ভবানীপুরে, মোতায়েন করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর পুলিশ
মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়েছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তাতেই বুধবার সকালে আহিরিটোলায় ভেঙে পড়েছিল পুররো বাড়িটির একাংশ। বাড়ির মধ্যে আটকে পড়ে সদস্যোজাত সন্তানের জন্ম দেওয়া মা গঙ্গা ঘোড়ুই, তাঁর স্বামী সুশান্ত ও মেয়ে শ্রীজিতা। প্রথম উদ্ধার কাজ শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারাও। পরবর্তীকালে ঘটনাস্থলে আসে দমকল আর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। আটকে পড়েছিলেন গঙ্গার মা চম্পা ঘড়ুই। উদ্ধারের পর শ্রীজিতাকে মেজিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গুরুতর আহত অবস্থায় চম্পাকেও হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়ে। স্বামী সুশান্তকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর বাড়ি ওয়ালা ভাড়াটে বিবাদের জেরেই এই বাড়িটি ভাঙা যাচ্ছিল না। কিন্তু এদিনের পর বাড়ির একংশ ভেঙে ফেলে পুরসভা।