সংক্ষিপ্ত
সিএএ থেকে রাম মন্দির একাধিক প্রসঙ্গ উত্থান
রাজ্য সরকারকে নিশানা অমিত শাহর
করোনা এক্সপ্রেসে চড়েই রাজ্যের বাইরে যাবে তৃণমূল
হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন অমিত শাহ
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন থেকে শুরু করে প্রবাসী শ্রমিক ইস্যু--সব প্রসঙ্গ তুলেই অমিত শাহ রীতিমত নিশানা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার বাংলায় ভার্চুয়াল সভায় অমিত শাহ বলেন, আগে ছিল সোনার বাংলা, বাংলা জুড়ে সব সময় শোনা যায় গুলি আর বোমার আওয়াজ। একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি আগামী দিনে এইরাজ্যে পরিবর্তন হবেই তা রুখতে পারবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবারের ভার্চুয়াল সভায় অমিত শাহ তুলে আনের রামমন্দির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন দিনের পর দিন এই মামলা আদালতে ঝুলিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে তা নিষ্পত্তি করে। রামজন্মভূমিতেই রাম মন্দির হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়েও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র বিরোধিতার জাবাব বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়েই দিয়েছেন অমিত শাহ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায় ভোট বাক্সের কথা মাথায় রেখেই মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন নমশূদ্র. মতুয়ারা কী সমস্যা তৈরি করেছে যে তাঁদের নাগরিকত্ব আইন থেকে বঞ্চিত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। অমিত শাহ আরও বলেন এই রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে বহু বাংলী শরনার্থী। কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ফলে তাদের সামনে খুলে যাচ্ছে এই দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার রাস্তা। সিএএ আইনের বিরোধিতা করার ফলও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভুগতে হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ভোট বাক্স খুললেই এই রাজ্যের জনতা আপনাকে শরণার্থী করে দেবেও বলে কটাক্ষ করেন অমিত শাহ।
প্রবাসী শ্রমিক ইস্যুতেও এদিন সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে করছে গোটা দেশে। প্রধানমন্ত্রী সকলের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে একাধিক উদ্যোগও নিয়েছেন। প্রবাসী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ট্রেন চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর অভিযোগ রাজ্য সরকারের বাধায় এই রাজ্যে সবথেকে কম শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলেছে। আর সেই প্রবাসী শ্রমিকদের ট্রেন নিয়ে কী করে কটাক্ষা করে মমতা বন্দ্যোধ্য়ায় বললেন ওটা করোনা এক্সপ্রেস। করোনা এক্সপ্রেস বলে উনি ভিন রাজ্য থেকে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের অসম্মান করেছেন বলেও অভিযোগ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন ওই ট্রেনে চড়িয়েই বাংলার মানুষ তৃণমূলকে বাইরে পাঠিয়ে দেবে।
অমিত শাহর অভিযোগ, করোনা আমফানের মত চরম এই সময়ও এই রাজ্যে দূর্ণীতি হচ্ছে। এই সময়ও তৃণমূলের নেতৃত্বে রাজ্যের একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে। কেন্দ্রের টাকায় চলছে তোলাবাজি। ত্রাণের টাকা চলে যাচ্ছে সিন্ডিকেট ভেট হিসেবে। অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। তিনি বলেন আগামী দিনে যদি শান্ত , উন্ননত আর সোনার বাংলা গঠন করতে চানা তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করুন। অমিত শাহর দাবি যেসব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে সেই সব রাজ্যে বিকাশের পথ প্রসস্থ হচ্ছে। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের পক্ষেও সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ।