সংক্ষিপ্ত

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ়ের নাম পঞ্চানন হালদার। কল্যাণীর বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ২৩ ফেব্রুয়ারি শারীরিক সমস্যা নিয়ে আর জি করের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। জরুরি বিভাগ যে ভবনে, তারই পাঁচতলায় ওই ওয়ার্ডটি রয়েছে।

শারীরিক অসুস্থ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে (Hospital)। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। আজ সকালে শৌচাগারে (Toilet) গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় শৌচাগারের জানলার কাচ ভেঙে চারতলার কার্নিসের কাছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (AC) যন্ত্রের বাইরের অংশের মাঝে আটকে যান। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় জরুরি বিভাগে (Emergency Unit)। কিন্তু, শেষ রক্ষা আর হয়নি। ওভাবেই প্রাণ হারান ৬৫ বছরের এক প্রৌঢ়। সোমবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medial College and Hospital)। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ়ের নাম পঞ্চানন হালদার। কল্যাণীর বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ২৩ ফেব্রুয়ারি শারীরিক সমস্যা নিয়ে আর জি করের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর চিকিৎসা (Treatment) চলছিল। জরুরি বিভাগ যে ভবনে, তারই পাঁচতলায় ওই ওয়ার্ডটি রয়েছে। সব কিছু ঠিকই ছিল।

আরও পড়ুন- মেয়ের হাতে মিষ্টি খেতে পারবেন ভাবেননি, ইউক্রেন ফেরৎ অন্বেষাকে পেয়ে এখনও বুক কাঁপছে বাবার

আজ সকাল ৬টা নাগাদ শৌচাগারে গিয়েছিলেন পঞ্চানন হালদার। তার ঠিক কিছুক্ষণ পরই ভারী কিছু নিচে পড়ার শব্দ পান কর্তব্যরত নার্স ও কর্মীরা। সেই শব্দ এতটাই জোরে ছিল যে রীতিমতো ভয়ে পেয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর শৌচাগারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পঞ্চাননবাবু নেই। আর শৌচাগারের জানলার কাচ ভাঙা রয়েছে। তাঁরা কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। এদিকে ওই ভবনের বাইরে থাকা লোকজনও বিকট শব্দে চমকে উঠে উপরের দিকে তাকিয়ে দেখেন, চারতলার কার্নিসের কাছে এসি-র ফাঁকে এক‌জন আটকে রয়েছেন। আর এই ঘটনার কথা শুনে বিষয়টি দেখতে যান হাসপাতালের আধিকারিকরাও।   

আরও পড়ুন- বাম আমলে কেতুগ্রামে পুড়িয়ে হত্যা ৫, একযুগ পর বেকসুর খালাস তৃণমূল বিধায়ক-সহ ৬৮ জনের

এই খবর পেয়েই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। এরপর দমকলকর্মীরা উপরে উঠে পঞ্চানন হালদারকে উদ্ধার করে নিচে নামান। তারপরই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জরুরি বিভাগে। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করলেও কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেখানে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান প্রৌঢ়ের পরিবারের সদস্যরা। 

আরও পড়ুন, কড়া নিরাপত্তার মাঝেই পুনর্নির্বাচন দক্ষিণ দমদম ও শ্রীরামপুরে, প্রচুর পুলিশ মোতায়েন

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, শৌচাগারের জানলা বেয়ে পাইপে করে নিচে নামার চেষ্টা করছিলেন ওই প্রৌঢ়। তখনই তিনি পড়ে যান। কিন্তু, কেন তিনি জানলার কাচ ভেঙে পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করছিলেন তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "বহু দিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন ওই প্রৌঢ়। তার জেরে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তার থেকে বাঁচতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।" যদিও এই ঘটনার কথা শোনার পর অবাক হয়ে গিয়েছেন প্রৌঢ়ের পরিবারের সদস্যরা।