সংক্ষিপ্ত
- এনআইএ-র হাতে ধৃত ৬ জঙ্গি থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য
- সেনার উপর হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা
- সহজলভ্য বস্তু দিয়ে বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ ছিল
- রাজ্যের ৪ জেলায় জঙ্গি মডেল ছিল ধৃতদের
মুর্শিদাবাদ থেকে থেকে গ্রেফতার ৬ আল কায়দা জঙ্গির থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য় পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। রাজ্যের চার জেলায় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প তৈরি করে জঙ্গি মডিউল তৈরি করেছিল জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, খুব সহজে পাওয়া যায় এমন বস্তু দিয়ে আইইডি বিস্ফোরক তৈরিতেও সিদ্ধহস্ত ছিল ধৃতরা। সহজলভ্য বস্তু দিয়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরি করার প্রশিক্ষণ ছিল ধৃতদের। রাজ্যের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূমে সীমান্তবর্তী এই চার জেলায় জঙ্গি মডিউল তৈরি করেছিল আল কায়দা জঙ্গিরা। ওসামা বিন লাদেন, আল জোহরি এই সব জঙ্গি নেতাদের ভিডিও দেখিয়ে ধৃত জঙ্গিদের মগজ ধোলাই করা হত।
আরও পড়ুন-'মাস্ক পরেননি কেন', হাসপাতালরক্ষীর 'মারে' মাথা ফাটল রোগীর আত্মীয়র
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পাকিস্তানের পেশোয়ার থেকে ভারত ও বাংলাদেশের 'আকিস' নামে একটি জঙ্গি সংগঠনকে। মূলত বাংলাদেশ থেকেই অপারেট করা হয় এই 'আকিস' সংগঠন। এ রাজ্যে জেএমবি জঙ্গি মডিউল আগেই ভেঙে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ ও এনআইএ। তাই এবার ঘুরপথে বাংলা ও দক্ষিণের রাজ্যে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে আল কায়দা।
আরও পড়ুন-বোমাবাজি-সংঘর্ষে উত্তপ্ত ময়না, বোমার আঘাতে মৃত্যু এক বিজেপি কর্মীর
গোয়েন্দারা তদন্তে জানতে পেরেছে, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ধৃত জঙ্গিরা কেরলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়েছিল। সেখানেই তাদের মগজ ধোলাই হয়। জলঙ্গির নওদাপাড়ার বাসিন্দা আল মামুদ কালাম কেরলের গোপন ডেরায় বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ নেয়। সেখানেই পরিচয় হয়েছিল মুর্শিদ হাসান, ইয়াকুব, বিশ্বাস, মোশারেফ হোসেনের সঙ্গে। মুর্শিদাবাদ থেকে কেরলে গিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজের সঙ্গে তাদের জঙ্গি প্রশিক্ষণও সমানভাবে চলত। সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের আল কায়দা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হত।
আরও পড়ুন-শিকেয় হাসপাতাল পরিষেবা, রোগী মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনার জেরে অবস্থানে ডাক্তাররা
মুর্শিদাবাদে ধৃত ছয় জঙ্গির মধ্য়ে তাদের মধ্য়ে নাজমুস সাকিব ডোমকল কলেজে কম্পিউটর সায়েন্সের ছাত্র ছিল। অন্যদিকে, কালামের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পশ্চিম রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ নিগমের অস্থায়ী কর্মী লিউ ইয়ান আহমেদের সঙ্গে। বিদ্যুতের সার্কিট তৈরির কাজে সিদ্ধহস্ত সে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের আলকায়দা নেতাদের নির্দেশেই কালাম ও লিয়ান মগজ ধোলাই শুরু করে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি, ডোমকলে ধৃত জঙ্গিদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ল্য়াপটপ, মোবাইল. পেনড্রাইভ। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন জঙ্গি নেতাদের ছবি। উদ্ধার হয়েছে বোমা ও বিস্ফোরক তৈরির স্কেচও।