সংক্ষিপ্ত

ভবানীপুর জোড়া খুনে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ভবানীপুর গুজরাটি দম্পতি অশোক শাহ এবং স্ত্রী রশ্মিতা হত্যাকাণ্ডে, মহিলার দেহ থেকে মিলেছে বুলেটের ক্ষতচিহ্ন। পাশাপাশি অশোক শাহের শরীরে একাধিকবার ভোঁতা অস্ত্রের দাগ মিলেছে।  জানা গিয়েছে, শাহ পরিবার সবসময়ই দরজায় তালা দিয়ে রাখতেন। কীভাবে আততায়ীরা ঢুকল,  তবে কি কোনও পরিচিত কেউ এসেছিলেন, যাকে দেখে দরজা খুলে দিয়েছিল ওই গুজরাটি পরিবার, প্রশ্ন উঠেছে।

ভবানীপুর জোড়া খুনে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ভবানীপুর গুজরাটি দম্পতি অশোক শাহ এবং স্ত্রী রশ্মিতা হত্যাকাণ্ডে, মহিলার দেহ থেকে মিলেছে বুলেটের ক্ষতচিহ্ন। পাশাপাশি অশোক শাহের শরীরে একাধিকবার ভোঁতা অস্ত্রের দাগ মিলেছে। এছাড়াও রয়েছে ধারালো অস্ত্রের দাগ। মঙ্গলবারেই দুটি দেহ ময়নাতদন্ত হবে। তবে পাশাপাশি আরও কতগুলি চাঞ্চল্যকর তথ্য বাইরে বেরিয়ে এসেছে। জানা গিয়েছে, শাহ পরিবার সবসময়ই দরজায় তালা দিয়ে রাখতেন। কীভাবে আততায়ীরা ঢুকল,  তবে কি কোনও পরিচিত কেউ এসেছিলেন, যাকে দেখে দরজা খুলে দিয়েছিল ওই গুজরাটি পরিবার, প্রশ্ন উঠেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, হরিশ মুখার্জীর ওই বহুতল ফ্ল্যাটে গুজরাটি ফ্যামিলির ঘরের বাথরুমের ভিতরে পায়ের ছাপ মিলেছে। আর এখান থেকেই একে একে দুই মিলতে পারে বলে অনুমান। কারণ টেবিলে খাবার ছড়ানো ছিটানো ছিল। দুটি গ্লাসও রাখা ছিল। কীভাবে আততায়ীরা ঢুকল, এনিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে কি এই ঘটানায় পরিচিত কারও যোগাযোগ রয়েছে, বলে প্রশ্ন উঠেছে। লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগ এবং ফরেন্সিক বিভাগ সমানভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে, শাহ পরিবার সবসময়ই দরজায় তালা দিয়ে রাখতেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে পরিচিত কি কেউ এসেছিলেন, যাকে দেখে দরজা খুলে দিয়েছিল ওই গুজরাটি পরিবার।এলাকার লোকজন বলেছেন, বাড়িতে সেভাবে কেউ আসতেন না। করোনার পর অশোক শাহ সেভাবে কোথাও যেতেন না বলে জানিয়েছেন আবাসিকরা। বাড়ি থেকেই কাজকর্ম পরিচালনা করতেন। তাহলে কীকরে ঘটল এত বড় ঘটনা।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বছর ৫৬-র অশোক শাহ-র দেহ যখন উদ্ধার করা হয়, সেই সময় তিনি ছিলেন খালি গায়ে। পরনে ছিল শুধু একটি হাফ প্যান্ট। শরীরে একটি বড় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। যা থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান।  পাশাপাশি বছর ৫২-র স্ত্রী রশ্মিতা শাহের শরীরে ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফ্ল্যাটের মধ্যে আলমারির দরজা খোলা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এমনকি রশ্মিতা শাহের হাতের বালা এবং আংটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি।ছোট মেয়ে কাজের সূত্রে আগেই বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একা ছিলেন বয়স্ক দম্পতি।  মেয়ে বারবার ফোন করেও দুপুর থেকে মা-বাবর সঙ্গে ফোন করে পাননি। সন্দেহ হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যে ৬ নাগাদ ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জী রোডের ওই ফ্ল্যাটে চলে আসেন। সদর দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকতেই রশ্মিতা শাহের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন মেয়ে। এরপরে বেডরুমে পড়ে থাকতে দেখেন বাবা অশোক শাহ-র রক্তাক্ত দেহ।ইতিমধ্য়েই ভবানীপুর জোড়েখুনে তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড স্কোয়াডের তদন্তকারী শাখা। এর সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে ভবানীপুর থানার পুলিশও। এদিনই দুটি দেহ ময়নাতদন্ত হবে।