সংক্ষিপ্ত
গ্রেফতার করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার অভিষেক মালাকার ও এএসআই সন্দীপ কুমার পালকে। সল্টলেকের করুণাময়ী মোড়ের ঘটনা। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা দু'জনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ।
রক্ষকই ভক্ষক বিধাননগরে (Bidhannagar)। নিরাপত্তার দায়িত্ব যাঁদের হাতে রয়েছে, তাঁদের কাছে সাহায্য চেয়েই বিপাকে পড়লেন এক তরুণী (Woman)। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা (Kolkata)। এবার শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগ উঠেছে খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) অভিষেক মালাকার ও এএসআই সন্দীপ কুমার পালকে। সল্টলেকের করুণাময়ী মোড়ের ঘটনা। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা দু'জনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছিল?
১০ ডিসেম্বর রাত। করুণাময়ী মোড় (Karunamayee) থেকে উল্টোডাঙা (Ultadanga) যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন আসানসোলের (Asansol) এক তরুণী। কিন্তু, অনেক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকার পরও তিনি কোনও গাড়ি পাচ্ছিলেন না। রাত হয়ে যাওয়ায় বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। কী করবেন কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। ঠিক সেই সময় সেখানে দিয়ে বাইকে করে যাচ্ছিলেন বিধাননগর ট্রাফিক পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর সন্দীপ কুমার পাল। আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক মালাকার। পুলিশকে দেখে কিছুটা হলেও মনে ভরসা পান ওই তরুণী।
এরপর পুলিশের তরফে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, অত রাতে তিনি কী করছেন সেখানে? তার উত্তরে ওই তরুণী জানান, তিনি আসানসোলের দুর্গাপুর থেকে কলকাতায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু, ফেরার জন্য কোনও গাড়ি পাচ্ছেন না। তারপর পুলিশকর্মীদের কাছেই লিফট চান তিনি। এরপরই দুই অভিযুক্ত তাঁকে নিয়ে বাইকে করে বিধাননগরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোড়ার পর বাইপাসের ধারে নামিয়ে দেন বলে অভিযোগ। বাইকে লিফট দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গন্তব্যে না পৌঁছে বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানো হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন- তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত ৪, চক্রান্তের হদিশ পেতে ম্যারাথন জেরা শুরু পুলিশের
এরপরই নিজের ফোনে চার্জ না থাকায় ওই তরুণী পুলিশ অফিসারের ফোন থেকে তার এক পরিচিতকে ফোন করে যোগাযোগ করেন। তারপর বন্ধুর সঙ্গে কসবা থানার (Kosba Police Station) দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানেই ওই দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। ওই তরুণীর অভিযোগ শোনা মাত্রই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় কসবা থানার পুলিশ। অভিযোগকারিনী এবং তাঁর বন্ধুকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় তদন্তকারীরা। এরপর বিধাননগর নর্থ থানায় (Bidhannagar North Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী।
আরও পড়ুন- পুরভোটের আগে আনন্দপুর থেকে গ্রেফতার ২১ বাংলাদেশি
তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দীপ কুমার পালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিষেক মালাকারকেও। পাশাপাশি তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। দু'জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সোমবার দুই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হবে। রেকর্ড করা হবে তরুণীর বয়ান।