সংক্ষিপ্ত
'বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার, পুড়িয়ে মেরে চাকরি দেওয়া হচ্ছে', বৃহস্পতিবার বিধানসবা চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক রাজ্যপাল। তবে রাজ্যপালের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার।
'বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার, পুড়িয়ে মেরে চাকরি দেওয়া হচ্ছে', বৃহস্পতিবার বিধানসবা চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক রাজ্যপাল। ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। আম্বেদকর জন্ম-জয়ন্তীতে স্পিকারের পাশে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে এদিন আরও একবার তোপ দাগেন তিনি। তবে রাজ্যপালের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার।
বৃহস্পতিবার আম্বেদকর জন্ম-জয়ন্তী উপলক্ষে বিধানসভায় যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। তারপর স্পিকারের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা তুলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। এদিন রাজ্যপাল বলেন, 'বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার। পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। চাকরি দেওয়া হচ্ছে।' বগটুইহত্যাকাণ্ডের পর নিহতদের পরিবারের ১০ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কাজে যোগ দিতে এই দশ জনের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, জেলা শাসককেও তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বগটুই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের ১০ জনকে চাকরি দেওয়া নিয়ে মমতা এও বলেছেন, 'তাঁদেরকে যদি চাকরি দেওয়া না হয়, তাহলে কীভাবে সংসার চলবে। যদিও এসব কিছুর ধারে কাছ দিয়েও না গিয়ে মমতার সরকারকে সোজা নিশানা করেছেন ধনখড়।
আরও পড়ুন, হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে কেস ডাইরি হাতে নিল সিবিআই, আজই নির্যাতিতার বাড়িতে প্রতিনিধি দল
তিনি আরও বলেন,' সিবিআই তদন্ত নিয়ে এত প্রশ্ন কেন। আমার কাছে রাজ্যের কোনও রিপোর্ট আসে না।অথচ মহিলাদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিছু মানুষ কি আইনের উর্ধ্বে বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, গতকাল হাইকোর্টে যা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। বিচারের মন্দিরের মাথা, হেট করা অনুচিত। রাজ্যের মানুষ ভয় নিয়ে বেঁচে আছেন। শাসন ব্য়বস্থা সব সময় একটি নির্দিষ্ট দিকে চলা উচিত। বক্তব্য শেষ হতেই রাজ্যপালের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন', বলেই জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়। এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'প্রত্যেকের নিজস্ব গণ্ডী রয়েছে। সেই গণ্ডী অনুযায়ী কাজ করা উচিত। রাজ্যপাল অনেক কথা বললেন, যা পুরোপুরি ঠিক নয়। আমরা সংবিধান মেনেই কাজ করি।' রাজ্যপালের এহেন বিস্ফোরক আক্রমণের বিরোধীতায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, 'সাংবিধানিক প্রধান হয়েও সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছেন রাজ্যপাল। দল দাসে পরিণত হয়েছেন তিনি।' রাজ্য বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য যদিও এনিয়ে পাল্টা তোপ দেগেছেন। শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে। সেকারণেই মুখ্যমন্ত্রী থেকে সরকারি আমলা সকলেই ধারাবিহকভাবে রাজ্যপালকে আক্রমন করছেন।'