সংক্ষিপ্ত
- বিজেপির নেতার বোনকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ
- চোপড়ার ধর্ষণকাণ্ডে এবার কাঠগড়ায় তৃণমূল
- ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল চেহারা নিয়েছে চোপড়া
- এর শেষ দেখে ছাড়বেন বললেন অগ্নিমিত্রা পল
বিজেপির বুথ সভাপতির বোনকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে এবার কাঠগড়ায় তৃণমূল। ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল চেহারা নিয়েছে চোপড়া। চোপড়ার ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমত্রা পল। তিনি বলেন, অভিযুক্তের ফাঁসি চাই, নাহলে এর শেষ দেখে ছাড়বেন তিনি।
নেত্রীর অভিযোগ, এইসব ঘটনার পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের রাজবংশী সম্প্রদায়ের উপর বারবার আঘাত হানছে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়েছেন এরা। তাই তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনি রাজবংশী সম্প্রদায়েরই মেয়ে জবা বর্মনকেও ঠিক একইভাবে ধর্ষণ করে খুন করে। সাত-আট মাস আগে প্রমীলা রায় নামে আরেকটি রাজবংশী মেয়েকেও তৃণমূল নেতাদের হিংসার শিকার হতে হয়। এবার সেই তালিকায় আরও এক নাম।
অগ্নিমিত্রার দাবি, ধর্ষিতার বয়স যেহেতু ১৬ তাই পকসো অভিযুক্তকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। এ বিষয়ে শেষ দেখে ছাড়বেন তারা। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রধান বলেন, দিদি এই বাবুসোনাদের প্রোটেক্ট করছেন? রাজ্যে শিল্প তো আনতেই পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। উনি কী তাহলে ধর্ষণটাকেই শিল্প হিসেবে দেখাতে চাইছেন? বেছে বেছে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যদের পরিবারের মহিলাদের উপর আক্রমণ হানা বন্ধ করুন।
জানা গিয়েছে, সদ্য মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল কিশোরী মেয়েটি। রবিবার ভোরে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার সোনাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বসলামপুর এলাকায় উদ্ধার হয় তার নিথর দেহ। মৃত কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একদল দুষ্কৃতীই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তারপর খুন করে ফেলে রেখে গিয়েছে ওই স্থানে। সকাল থেকেই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কয়েকশো স্থানীয় বাসিন্দা, চোপড়ায় রাজ্য সড়ক ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে। হাতে ঢিল বাঁশ লাঠির মতো অস্ত্রশস্ত্র। বিক্ষোভকারীদের দাবি যতক্ষণ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হবে ততক্ষণ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ চলবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শনিবার রাতেই কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল দুস্কৃতীরা। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি মেয়েটি। গোটা রাত তার উপর নারকীয় অত্যাচার চলেছে বলে সন্দেহ বসলামপুর গ্রামের বাসিন্দাদের। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা সূত্রের মাধ্যমেই দূষ্কৃতীদের নাম পরিচয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।
এলাকায় তীব্র উত্তেজনার মধ্য়েই চোপড়া থানা থেকে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। ওই কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে তারা ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে তারা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি সাইকেল, একটি ছাতা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের ক্ষেত্রে এই সূত্রগুলির গুরুত্ব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।