সংক্ষিপ্ত
- চল্লিশ দিনের লড়াই শেষে হার মানলেন মৃত্য়ুর কাছে
- প্রয়াত কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
- তাঁর প্রয়াণেও থেমে থাকল না 'রাজনীতির লড়াই'
- শালীনতার মাত্রা ছাড়ালেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা
এখন তিনি আর নেই, কিন্তু তখন তো ছিলেন! মৃত্যুর আগে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ফেসবুকে 'অসংবেদনশীল' পোস্ট দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। সমালোচনার ঝড় উঠেছিল নেটদুনিয়ায়। রবিবার 'ফেলুদা'র প্রয়াণে যখন শোকাহত আপামর বাঙালি, তখন ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে সমালোচকদের একহাত নিলেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ। টেনে আনলেন রাজনীতির প্রসঙ্গ!
তিনি ফিরে আসবেন, এমন আশা ছিল না। শনিবার রাতে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। জানিয়ে দিয়েছিলেন, অলৌকিক কিছু না ঘটলে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনরক্ষা করা আর সম্ভব নয়। অক্টোবরের গোড়ার দিয়ে করোনা আক্রান্ত শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কিংবদন্তী অভিনেতা। তারপর কখনও একটু ভালো, তো কখনও আবার খারাপের দিকে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যমে-মানুষে টানাটানি চলেছে। সব শেষ হয়ে গেল রবিবার। বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গল্ফগ্রিনের বাসভবন, টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুজিও ঘুরে প্রয়াত অভিনেতা মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্রসদনে। ঘণ্টার দুয়েক সেখানে শায়িত থাকবেন সৌমিত্র। বিকেলে শেষকৃত্য হবে কেওড়াতলা মহাশশ্মানে।
আরও পড়ুন: 'এই শূন্যতা পূরণ করা কঠিন', সৌমিত্রর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ রাজ্যপালের
এর আগে শনিবার রাতে যখন হাসপাতালে বেডে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন ক্ষিদ্দা, তখন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা। সদ্য প্রয়াত অভিনেতার ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, 'নক্ষত্র পতন !!! আলোকময় দীপাবলী'র রাত অন্ধকার করে চলে গেলেন আমাদের সকলের প্রিয় ফেলুদা !!!' এসবের মানে কি! প্রাক্তন সাংসদে 'অসংবেদনশীল' পোস্ট নিয়ে সমালোচনা ঝড় ওঠে। এমনকী, কমেন্ট করে পোস্টটি ডিলিট করারও পরামর্শ দেন অনেকেই।
শেষপর্যন্ত রবিবার দুপুরে চলে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তখনও সরকারিভাবে তাঁর মৃত্যুসংবাদ ঘোষণা করা হয়নি হাসপাতালে তরফে। ফেসবুকে আবার পোস্ট দিলেন অনুপম। আগের পোস্টটির যাঁরা সমালোচনা করেছিলেন, সেই 'বিজ্ঞ'দের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন তিনি। নাম না করে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।