সংক্ষিপ্ত
'মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, ডিলারদের ভয় দেখিয়ে বেশিদিন সরকার চালানো যায় না', দুয়ারে রেশন নিয়ে বুধবার নিউটাউনে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতী সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
'মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, ডিলারদের ভয় দেখিয়ে বেশিদিন সরকার চালানো যায় না', দুয়ারে রেশন ( Duyare Ration) নিয়ে বুধবার নিউটাউনে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে (Morning walk at Newtown) এসে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতী সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
দিলীপ বলেছেন, 'লোককে দেখাচ্ছে আপনাদের জন্য আমি খুব ভাবি। লোক এটা চায়নি। দুয়ারে কে পৌছবে রেশন । ইতিমধ্যেই দুয়ারে রেশন নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। অস্বত্ব রক্ষার তাগিদে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রেশন ডিলাররা। কিন্তু তাঁদের আর্জি খারিজ হয়ে যায়।' রেশন ডিলারদের পরিস্থিতি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ডিলারদের আদালতে যেতে হল। লক্ষ্মীরভাণ্ডার, দুয়ারে রেশন, এগুলো মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। ডিলারদের ভয় দেখিয়ে বেশিদিন সরকার চালানো যায় না। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।' প্রসঙ্গত, আইনি জটিলতা কাটিয়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে রেশন কর্মীসূচি। মঙ্গলবার গোটা রাজ্যব্যাপী দুয়ারে রেশন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভার্চুয়ারি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, এতে রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের উপকার হবে। উল্লেখ্য, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগেই 'পাড়ায় পাড়ায় সমাধান', 'দুয়ারে সরকার' সহ একাধিক প্রকল্প শুরু করেছিল রাজ্য সরকার । যার ফলে মানুষের আটকে থাকা নানান কাজ সেইসময় অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছিল বলেই তৃণমূলের দলীয় সূত্রের দাবি। এরপর আবার 'দুয়ারে রেশন' প্রকল্পের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রেশন ডিলারদের মধ্যে এক ধরণের অসন্তোষ ছিল। কারণ এতদিন রেশন ডিলাররা কর্মী নিয়োগ করতে পারতেন না। রেশন ডিলারদের সেই সমস্যার সমাধান করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার থেকে দুজন করে কর্মী নিয়োগ করতে পারবেন তারা। সবমিলিয়ে রাজ্যে মোট নতুন ৪২ হাজার কর্মসংস্থানের হদিশ দিয়েছেন মমতা ।
ভোট স্থগিত হওয়ায় বিরোধীদের দায়ী করে সরকার। আসলে সরকার কথা শোনে না। তাই মানুষ কোর্টে যায় । পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা। আমরা গোড়া থেকেই বলছি, সর্বত্র একসঙ্গে ভোট হোক । প্রীতম অডিও কাণ্ড প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এটা সমাজ ও রাজনীতিকে কলুষিত করার মতো ঘটনা। আমাদের দলে এটা যাকে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি বলবেন। তবে বিধানসভা ভোটের আগে কত হাজার হাজার মানুষ বিজেপিতে এসেছিলেন। কেউ আছেন। কেউ চলে গেছেন। আর তৃণমূল নেতাদের হাতে বান্ডিল বান্ডিল টাকা নিতে দেখা গেছে। আর এখানে একটা অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে হই চই হচ্ছে। আগে যাচাই হোক।'
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে