সংক্ষিপ্ত
'২০ হাজারের বেশি ব্যবধান থাকাটা খারাপ নয়', জয়ের পর বললেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তবে বাবুলের বার্তার পর 'সংখ্যালঘু ভোট কমছে' মনে করালেন সুকান্ত-দিলীপরা।
বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে জয়ের পর মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়ো। এই জয় মা-মাটি-মানুষের জয় বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। এদিন বাবুল বলেন, খুব ভালো লাগছে। এটা আমার নৈতিক জয়। যে ধরণের নোংরা রাজনীতির প্রচার করছিল বিরোধীরা, ব্যাক্তিগত আক্রমণ থেকে মিথ্যাচার করা হয়েছিল।তাতে আমরা কোনও জবাব দিইনি। এবার মানুষই শিক্ষা দিয়েছে। আগামীদিনে ভাল কাজ করার চেষ্টা করব।' যদিও ভোটের ব্যবাধান নিয়ে চিন্তিত নন বাবুল। তাঁর দাবি উপনির্বাচনে যে পরিমাণ ভোট পড়েছে, তাতে ওই ব্যবধান থাকাটাই স্বাভাবিক। এদিন ২০ হাজার ৩০ ভোটে জয়ের পর বাবুল আরও জানান, ২০ হাজারের বেশি ব্যবধান থাকাটা খারাপ নয়। তিনি বলেন, উপনির্বাচনে ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে। তাই হিসেব করেই তিনি প্রথম থেকেই বলে এসেছেন, ২০ হাজার ভোটে জিতবে, আর সেটাই হয়েছে।
গেরুয়া শিবিরের এহেন হারের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন,'বালিগঞ্জে তো আমরা প্রতিযোগীতাতেই নেই। ওখানে ৪০ শতাংশের উপরে সংখ্যা লঘু ভোটার। স্বাভাবিকভাবেই আমরা সেখানে প্রতিযোগীতায় থাকার কথা নয়। যাদের লড়ার তাঁরা লড়েছে। তবে সংখ্যা লঘু ভোটটাও এখন তৃণমূলের জন্য ধীরে ধীরে কমছে। আগামীদিনে আরও কমবে বলে মনে হয়।' প্রসঙ্গত, এদিন ভোট গণনার শুরুতেই বালিগঞ্জে ১৩ হাজার ভোটে এগিয়ে যখন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়, তখনই বালিগঞ্জে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএম পার্থী সায়রা শাহ হালিম। তারপর কংগ্রেস প্রার্থী পেরিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। যদিও পরের দশম রাউন্ডের পরে কংগ্রেসকে টপকে বিজেপি এগিয়ে আসে। তবে সায়রাকে টপকাতে পারেনি বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ।প্রথমবার উপনির্বাচনের দাঁড়িয়ে প্রায় হেভিওয়েট বাবুলের সমানে সমানে একা হাতেই ব্যাটিং করলেন বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। বলতে গেলে একুশের বিধানসভা ভোটে বামেদের অনেক নতুন মুখই দেখা গিয়েছিল প্রার্থী পদে। তবে এভাবে সায়রার মতো লড়াই করতে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, বালিগঞ্জে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৬৪ এবং ৬৫ নং ওয়ার্ডে পিছিয়ে গেল তৃণমূল। বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে এটা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা। আর এই জায়গাটাকেই নিশানা করলেন সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন, 'অজুহাত দেব না, রিগিং হয়েছে বলব না', ভোটে হেরে মোদীকে 'সরি স্যার' বললেন অগ্নিমিত্রা
বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। আসানসোলে ভোট হল কোথায়। মানুষকে যেভাবে ভয় দেখানো হয়েছে, তাতে প্রচুর মানুষ ভোট আসেননি। উপনির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফলের জন্য এমনটাই বলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, বালিগঞ্জে মোট ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। মানুষ ওনাকে ক্যান্ডিডেট হিসেবে স্বীকার করেননি, তাই ভোট দিতে যাননি। সাধারণ মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার পাচ্ছেন না বলেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যাচ্ছেন না। বিজেপির ভোটাররা তো আসতেই পারেননি। ভোট করানো হয়েছে। গতবারের তুলনায় দেখতে গেলে কী এমন ভোট পড়েছে' বলে তৃণমূলের জয় মানতে নারাজ দিলীপ ঘোষ।