সংক্ষিপ্ত
- ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে তিনআগে শুরু হয় এক বোমাতঙ্ক
- কলাইকুন্ডলা এয়ারবেসে বাহিনীর মহড়া চলাকালীন বোম এসে পড়ে গ্রামে
- আড়াই কিলোমিটার দূরে ছিটকে এসে বোমাটি মাটির ২৫ ফুট গভীরে ঢুকে যায়
- অনেক চেষ্টার পরও তিনদিনেও সেই বোমা উদ্ধার করা সম্ভব হল না, আতঙ্কে গ্রামবাসীরা
তিনদিন আগে বিমানবাহিনীর মহড়া চলাকালীন একটি বোমা নিশানা ভুলে গিয়ে পড়েছিল আড়াই কিলোমিটার দূরের চাষের জমিতে। তারপর কেটে গিয়েছে তিন-তিনটে দিন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাটির ভেতর থেকে বোম উদ্ধারে সফল হল না বাহিনীর বোম স্কোয়াড। তাই ঝাড়খণ্ডের সাঁকরাইলেরর গ্রামে এদিন অবধি রয়ে গেল চাপা আতঙ্ক।
শনিবার এলাকায় গিয়ে দেখা গিল, বাহিনী ঘিরে রেখেছে গোটা তল্লাট। গ্রামবাসীদের নিয়ে চলছে মাটি খোঁড়ার কাজ। আর চারপাশে কৌতূহলী মুখের থিকথিকে ভিড়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার কলাইকুন্ডা এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে বিমান বাহিনী মহড়া দিচ্ছিল। সেই সময়ে নিশানা ভুলে আড়াই কিলোমিটার দূরে একটি চাষের জমিতে গিয়ে পড়ে একটি বোমা । স্থানীয়রা সেই সময়ে দূরে থাকায় কোনও কোনও অঘটন ঘটেনি ঠিকই, তবে বোমাটি সজোরে মাটিতে আছড়ে পড়ে ২৫ ফুট গভীরে ঢুকে যায়। গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশের থেকে খবর পেয়ে এলাকায় আসেন বিমানবাহিনীর বোম স্কোয়াডের সদস্য়রা। ওইদিন বিকেল থেকেই শুরু হয় বোম উদ্ধারের কাজ। কিন্তু মাটির অত গভীরে ঢুকে যাওয়ায় তাকে সহজে বের করা সম্ভব হয় না। তবে সেই থেকে শুরু করে শনিবার অবধি বোমা উদ্ধারের কাজে কোনও ঢিলেমি দেখায়নি বাহিনী। গ্রামের লোকেদের সঙ্গে নিয়েই চলেছে উদ্ধারের কাজ। কিন্তু শনিবারও মাটির ভেতর থেকে ওই 'ঘুমন্ত বোমা' উদ্ধার না-হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। সবাই এখন একটাই আতঙ্ক, বোমাটি নিষ্ক্রিয় না-হলে যে কোনও সময়ে এলাকায় বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।