সংক্ষিপ্ত
- 'রাজ্য়ের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে দেওয়া হয়েছে'
- 'বহিরাগত' দিয়ে রাজ্য নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছে বিজেপি'
- বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করল তৃণমূল কংগ্রেস
- পাল্টা আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের
দোরগড়ায় একুশের নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে বিশেষ কারণ সহ তুলনা টেনে সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টচার্য, ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় সহ আরও অনেকে। এবার একহাত নিলেন ব্রাত্য বসু। তবে পাল্টা আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষও।
আরও পড়ুন, 'আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৬ হাজার কোটি গেল কোথায়', বিজেপিকে প্রশ্ন চন্দ্রিমার
'প্রশান্ত কিশোর তাহলে কোথাকার'
বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে রুখতে বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করল তৃণমূল কংগ্রেস। মূলত রাজ্যকে ৫ ভাগে ভাগ করে ৫ নেতাকে বাংলা জয়ের লক্ষে পাঠিয়েছে বিজেপি নের্তৃত্ব। তার উপর ভোটের আগে এখন প্রতিমাসে বাংলায় আসবেন অমিত শাহয শুক্রবার ব্রাত্য বসু দাবি করেন, 'বহিরাগত' দিয়ে রাজ্য নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছে বিজেপি'। যদিও 'বহিরাগত' -র তকমা তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ও দিয়েছেন। এরপরেই তীব্র আক্রমণ করে 'প্রশান্ত কিশোর তাহলে কোথাকার' পাল্টা প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন, 'মালদা বিস্ফোরণে বোমার যোগাযোগ নেই', রাজ্যপাল-বিজেপিকে পাল্টা জবাব নবান্নের
'রাজ্য়ের দায়িত্বে যেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে'
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে রাজ্য়ের অবাঙালি অধ্যুষিত আসনগুলিতে দাপট দেখিয়েছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে রুখতে বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করল তৃণমূল কংগ্রেস। 'এই রাজ্য়ের দায়িত্বে যেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রের মন্ত্রীসভায় তাহলে বাংলার কোনও সাংসদ পূর্ণমন্ত্রীর জায়গা থেকে বঞ্চিত হন কেন।' কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, ভিনরাজ্যে বিজেপির জয় নিয়ে কিছুদিন আগেই একগুচ্ছ কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম। এমনকি 'বিহারে অতগুলি সিট বিজেপি কেন দেওয়া হল, সিট গুলি নষ্ট না হলে তেজস্বী যাদবের কী অবস্থান হত ' এ তীব্র আক্রমণ করেন ফিরহাদ। পাশপাশি, রাজ্য অমিত শাহের সফর শুরু হতে তোলেন উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ। 'উত্তর প্রদেশের আদিবাসী ধর্ষণ ঢাকতেই বাংলায় মতুয়া প্রেম বিজেপির' বলেন ফিরহাদ। তাই আক্রমণের আগুন জ্বলেই গিয়েছে, ভোটের যত দিন এগিয়ে আসবে, ততোই বিরোধি হোক কিংবা গোষ্ঠী কোন্দল ততই প্রকাশ্য়ে উঠে আসবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।