সংক্ষিপ্ত

লর্ড সিনহা রোডের কার্যালয় থেকে বিএসএফ-এর এডিজি ওয়াই বি খুরানিয়া জানিয়েছেন, "আইনে বিএসএফ-এর ক্ষমতা খুবই সীমিত। কেন্দ্র অতিরিক্ত কোনও ক্ষমতা দেয়নি। নয়া বিজ্ঞপ্তির জেরে কেবলমাত্র এলাকার সীমা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার হয়েছে। তবে আগের মতোই পুলিশের সহযোগিতা নিয়েই কাজ করবে বিএসএফ।"

পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পঞ্জাবে (Punjab, West Bengal and Assam) বিএসএফের (BSF) এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Government)। এরপর মঙ্গলবারই রাজ্য বিধানসভায় (State Assembly) পাশ হয় বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতায় প্রস্তাব। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (Border Security Force)। লর্ড সিনহা রোডের কার্যালয় থেকে বিএসএফ-এর এডিজি ওয়াই বি খুরানিয়া (YB Khurania) জানিয়েছেন, "আইনে বিএসএফ-এর ক্ষমতা খুবই সীমিত। কেন্দ্র অতিরিক্ত কোনও ক্ষমতা দেয়নি। নয়া বিজ্ঞপ্তির জেরে কেবলমাত্র এলাকার সীমা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার হয়েছে। তবে আগের মতোই পুলিশের সহযোগিতা নিয়েই কাজ করবে বিএসএফ।"

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, পঞ্জাব, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হবে। এই এলাকার মধ্যে তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেফতার করতে পারবে বিএসএফ। আর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয় বাংলা ও পঞ্জাব। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠিও লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপর মঙ্গলবারই বিধানসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে পাশ হয়েছে বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে আনা প্রস্তাব। 

আরও পড়ুন- ২৫ জন কীভাবে চাকরি পেয়েছে জানে না কমিশন, বেতন বন্ধের নির্দেশ আদালতের

বুধবারই একটি সাংবাদিক বৈঠক করে ওয়াই বি খুরানিয়া বলেন, "বিএসএফের মূল কাজ অনুপ্রবেশ রোখা। আমদের সংস্থা কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয়। আমরা কখনওই রাজ্য পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমরা সবসময় চাইব যাতে পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে পারি।" তিনি আরও বলেন, "বিএসএফের কাছে কোনও পুলিশি ক্ষমতা নেই। আমরা এফআইআর নথিভুক্ত করতে বা তদন্ত করতে পারি না। যেকোনও ব্যক্তিকে আটক বা গ্রেফতার করার পর রাজ্য পুলিশ বা অন্য কোনও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতেই তুলে দিতে হবে। রাজ্য পুলিশের অধিকার ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত রয়েছে। বিএসএফের বর্ধিত অধিকার পুলিশের হাতকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বহু জায়গায় পুলিশ-বিএসএফ সমন্বয়ে মানব পাচার বিরোধী ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া সীমান্তে যৌথ অভিযান, যৌথ টহল, যৌথ নাকা করে পুলিশ ও বিএসএফ।"

আরও পড়ুন- তারাপীঠে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা সৌর উনুন, আহত ৪

মঙ্গলবার বিধানসভায় বিএসএফের কাজের পরিধি বৃদ্ধি বিরোধী প্রস্তাব পাশ হওয়ার সময় বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha) বলেছিলেন, “বিএসএফের অত্যাচার যারা চোখে দেখেনি তারা বিশ্বাস করতে পারবে না। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। বিএসএফ সম্পর্কে বুঝে যাবেন। তল্লাশির নামে ৮-১০ বছরের ছেলের সামনে যখন বাবাকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়, মায়ের গোপন জায়াগায় হাত দেওয়া হয়। তখন ওই ছেলে দেশপ্রেমিক হতে পারে না। ওর কানের কাছে যতই ভারত মাতা কি জয় বলা হোক, সে কিন্তু দেশপ্রেমিক হবে না।” আজ সাংবাদিক বৈঠকে বিধায়কের এই মন্তব্যের জবাব দেন এডিজি ওয়াই বি খুরানিয়া। তিনি বলেন, “বিএসফের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক। বিএসএফে চার হাজারেরও বেশি মহিলা জওয়ান রয়েছেন। এমন কোনও অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত করে দেখা হবে।”

আরও পড়ুন- ১ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে পালিত হবে 'ছাত্র দিবস', ঘোষণা মমতার

YouTube video player