সংক্ষিপ্ত
- পুজোর পর বিপদ আরও বাড়বে না?
- করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কা বাড়ছে ক্রমশই
- আদালতে এবার ভর্ৎসনার মুখে সরকার
- অনুদান দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল ডিভিশন বেঞ্চ
রুশি পাঁজা: 'করোনা সংক্রমণে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ। তাহলে এ রাজ্যে দুর্গাপুজো অনুমতি দেওয়া হল কী করে?' কলকাতা হাইকোর্টে এবার তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সরকার। আদালতে প্রশ্ন উঠল, 'শুধু দুর্গাপুজোতেই কি অনুদান দেয় সরকার? নাকি অন্য উৎসবেও দেওয়া হয়? ঈদেও কি অনুদান দেওয়া হয়েছিল?' শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
রাজ্যে ফের উর্ধ্বমুখী করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। সংক্রমণের আশঙ্কায় নভেম্বরে যখন স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার, তখন দুর্গাপুজোর অনুমতি দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এমনকী, ৫০ হাজার টাকা করে অনুদানও দেওয়া হয়েছে ক্লাবগুলিকেও। সরকারি টাকায় কেন এই 'হরির লুট'? কলকাতা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন সিটু নেতা সৌরভ দত্ত। বৃহস্পতিবার মামলাটি শুনানি হয় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।
শুনানিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, এবার দুর্গাপুজো নির্দিষ্ট গাইডলাইন বেধে দিয়েছে সরকার। সেই গাইড লাইনে পুজো করতে হলে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। ক্লাবগুলিকে মাস্ক ও স্যানিটাউজার কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের পাল্টা মন্তব্য, 'সরকার নিজেই কেন্দ্রীয়ভাবে মাস্ক ও স্যানিটাউজার কিনতে পারত। সেক্ষেত্রে খরচও অনেক কম পড়ত।' জানতে চাওয়া হয়, 'পুজোয় কি কি সুরক্ষা বিধি মেনে চলা হচ্ছে? পুজো মণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে?' সরকার পক্ষের আইনজীবী যখন বলেন, 'এই বিষয়গুলি পুলিশ দেখবে', তখন আদালতও পাল্টা প্রশ্ন তোলে, সবকাজ যদি পুলিশই করবে, তাহলে ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়ার কী দরকার?' শুধু তাই নয়. পুজো অনুদান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ও মামলাকারী আইনজীবীকে আলোচনায় বসারও পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: লন্ডন এর পুজো এবার হবে কলকাতায়, শুভেচ্ছা জানালেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
উল্লেখ্য়, পুজোর পর করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটবে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্য সরকারের। স্বাস্থ্য় দপ্তর সতর্কতা জারি করেছে। মুখ্য়মন্ত্রী নিজেও পুজো উদ্যোক্তাদের কঠোরভাবে করোনা বিধি মেনে চলার নির্দেশও দিয়েছেন। তাহলে এবছর দুর্গোৎসব বন্ধ রাখা হল না কেন? হাইকোর্টে আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন অজয় কুমার দে নামে এক ব্যক্তি। আদালতের কাছে পুজো বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।