সংক্ষিপ্ত

 জাতীয় মানবধিকার কমিশনের রিপোর্টে যে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য, তা মোটেই সঠিক নয়।ধোপে টিকল না রাজ্যের অভিযোগ।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট পরবর্তী খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে রিপোর্ট।

আরও পড়ুন, 'কোনও যোগাযোগ নেই-পরিবারকে নিয়ে খুব চিন্তাই রয়েছি', পুরুলিয়ায় পৌঁছাল তালিবানি আতঙ্ক
 উল্লেখ্য, ৩ অগাস্ট এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নের্তৃত্বে ৫ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলায় প্রথম থেকেই পুলিশি নিষ্কৃয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে একাধিক পিটিশন জমা পড়ে হাইকোর্টে। প্রসঙ্গত ভোটের পর সারা বাংলা জুড়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে বিজেপি। নন্দীগ্রাম সহ একাধিক এলাকার কার্যালয়, বাড়ি ঘর, পরিবারের উপর হামলা, কার্যকর্তা, নেতা খুনের ঘটনা ঘটে। রাজ্যে এরপর পরিদর্শনে আসে জাতীয় মানবধিকার কমিশন।  হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য়ের হিংসা বিধ্বস্ত জায়গায় ঘুরে রিপোর্ট তৈরি করে জাতীয় মানবধিকার কমিশন। এদিকে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় কমিশনের সদস্যরা। শুনানির সময় এই বিষয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এখানেই শেষ নয় জল গড়ায় অনেক দূর। ২২ জুলাইয়ের দিকে কমিশনের রিপোর্টে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলে রাজ্য।

"
 আরও পড়ুন, WB Local Train: গ্রামে ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হলেই চলবে লোকাল ট্রেন, বড় ঘোষণা মমতার
'জাতীয় মানবধিকার কমিশনের রিপোর্টে একাধিক অসংঙ্গতি রয়েছে'  ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে হাইকোর্টে পাল্টা জোরদার সওয়াল করেন আইনজীবি তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবধিকার কমিশন (NHRC)-এর রিপোর্ট উদ্দেশ্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য় প্রণোদিত। রিপোর্টে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। যে যে ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, তার বেশিরভাগটাই ভোটের আগেকার। সেই সময় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। এ থেকেই বোঝা যায়, NHRC-র রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট। ভোট পরবর্তী সময়ে হিংসার ইস্যুতে যে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তার অনেকগুলিই ইতিমধ্যে পুলিশ পদক্ষেপ নিয়েছে।' অপরদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় মানবধিকার কমিশন। রিপোর্টে দাবি করা হয় যে প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

আরও পড়ুুন, 'বিনামূল্যের লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্মে লাগছে ৫০- ১০০ টাকা', ভয়াবহ অভিযোগ সরকারি প্রকল্পে

বৃহস্পতিবার আদৌ সেসব ধোপে টিকল না।  হাইকোর্ট জানিয়েছে যে, জাতীয় মানবধিকার কমিশনের রিপোর্টে যে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য, তা মোটেই সঠিক নয়। আদালত সকল অভিযোগের তথ্য খতিয়ে দেখেছে। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। দুই তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পার্থ ভৌমিক এই মামলায় যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। তাদের মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ হামলায় তিনজন সদস্যের একটি টিম গঠন করতে হবে। ছয়  সপ্তাহের পর সিবিআই  রিপোর্ট জমা দেবে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নির্দেশেই সিট গঠন করতে হবে। 

 আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

YouTube video player