সংক্ষিপ্ত
- প্রায়ই দেখা যায় কলকাতার রাস্তার ধারে স্তূপ করে পোড়ানো হচ্ছে ময়লা
- এর কড়া নিন্দা করেছে গ্রিন ট্রাইবুনাল
- এবার অপরাধ দেখলেই শাস্তির সিদ্ধান্ত
প্রায়ই দেখা যায় কলকাতার রাস্তার ধারে স্তূপ করে পোড়ানো হচ্ছে ময়লা। গোটা শহরটাকে এই ভাবে ক্রমে বিষাক্ত বানিয়ে ফেলার বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। কলকাতা পুলিশের ডিজি অনুজ শর্মা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এবার থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমন ঘটনা চোখে পড়লে। অপরাধীর দুশো টাকা জরিমানা এমনকী দুই বছরের কারাদণ্ডও হতে পারে। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর থেকেও প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে এমন নির্দেশিকার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক কালে কলকাতার দূষণ সমস্ত মাত্রা ছাড়িয়েছে। দেখা যাচ্ছে দূষণে দিল্লির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে বাঙালির .প্রাণের শহর কলকাতা। শীতকালে এই অবস্থা চূড়ান্ত হয়ে উঠছে। জায়গায় জায়গায় বিষের বাষ্পের কারণে ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। বাতাসে উড়তে থাকা ক্ষতিকারক পদার্থগুলির কারণে বহু মানুষ শ্বাসকষ্টের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবু দেখা যায় কাণ্ডজ্ঞানহীন ভাবে বহু মানুষ রাস্তার ধারে আবর্জনা পোড়ান। মুখের কথায় কোন কাজও হয় না।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা পাচ্ছে নতুন শেরিফ, দায়িত্ব নিচ্ছেন প্রখ্যাত লেখক শংকর
পথ আটকে দুর্গাপুজো বন্ধ, রথের দিনই নির্দেশিকা জারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ন্যাশনাল গ্রিন ট্রিবুনাল থেকে দীর্ঘদিন ধরেই বারবার বলা হচ্ছে মানুষের এই কু-অভ্যাসের রোধ দেওয়ার জন্য। রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে যাতে গাছের পাতা পোড়ানো বন্ধ হয় কেননা এই ধোঁয়া বিরাট ক্ষতি করে প্রকৃতির তাছাড়া প্লাস্টিক দূষণের কথা ও কারও অজানা নয়।
পরিবেশবিদরা বলছেন, রাস্তায় পোড়ানো জঞ্জালের ধোঁয়া শীতকালে বাতাসে গতি কম হওয়ায়, ৫-৭ ফুটের ওপরে উঠতে চায় না। এর ফলে মারাত্মক ক্ষতি হয় শরীরের। এর বিরুদ্ধে সরকারি পদক্ষেপের দাবি দীর্ঘদিন করে আসছেন তাঁরা। এবার সেই দাবিতেই শিলমোহর দিল প্রশাসন। শাস্তির ভয়েই মানুষের টনক নড়লে লাভ গোটা শহরেরই।