সংক্ষিপ্ত
- উৎসবের মরশুম শেষে বাড়ল উদ্বেগ
- রাজ্যে ফের বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে হবে গঙ্গাসাগর মেলা?
- জরুরি বৈঠক ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব
করোনা আতঙ্ক যায়নি এখনও। বরং উৎসবের মরশুমে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু তা বলে কোনও কিছুই তো আর থেমে নেই। তাহলে এবার গঙ্গাসাগর মেলাও হবে? ১৯ নভেম্বর বৈঠক ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে থাকবেন কলকাতা ও দুই চব্বিশ পরগণার প্রশাসনিক আধিকারিক ও পুলিশকর্তারা।
আরও পড়ুন: ছটপুজোর পূর্ণস্নানে সময়ে দুর্ঘটনা, ব্যারেজের জলে তলিয়ে গেল কিশোর
করোনা আতঙ্কে এবার আদৌও দুর্গাপুজো হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। মামলা গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মণ্ডপে বহিরাগত দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। বাজি পোড়ানো যায়নি কালীপুজোতেও। সামনেই আবার গঙ্গাসাগর মেলা। প্রতি বছর এই মেলায় ভিড় জমান কয়েক লক্ষ পূর্ণ্যার্থীরা। ভিনরাজ্যে থেকেও আসেন বহু মানুষ। সেক্ষেত্রে কি আদৌও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব? বহু মানুষে জমায়েত থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা তো কম নয়। তাহলে উপায়? কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগণার প্রশাসনিক আধিকারিক ও পুলিশকর্তাদের নিয়ে বৈঠক বসছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রয়োজনে বিকল্প কোনও উপায়ে মেলা আয়োজনের চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের নীলগাই-এর দেখা মিলল বর্ধমানে, জখম অবস্থায় প্রাণীটিকে উদ্ধার করল বনদপ্তর
এদিকে কালীপুজো ও ভাইফোঁটার পর ফের নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়াল রাজ্যে। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যা অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৩৬৫৪ জন। এই নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫৬৩। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার বলি প্রাণ হারিয়েছেন ৫২ জন।