সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের ব্যাঙ্কের উপর স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ইস্যুতে গুরুতর অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। 'কোনও ব্যাঙ্ক দয়া করছে না, সেটা তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে', বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে রাজ্যের ব্যাঙ্কের উপর রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।  

রাজ্যের ব্যাঙ্কের উপর স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের (Student Credit Card) ইস্যুতে গুরুতর অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। 'কোনও ব্যাঙ্ক দয়া করছে না, সেটা তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে', বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠকে (Administrative meeting at Netaji Indoor Stadium) স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে রাজ্যের ব্যাঙ্কের উপর রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যাঙ্কগুলির এগিয়ে না আসার পিছনে কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আছে কি, উষ্মা প্রকাশ করে প্রশ্ন ছুড়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ইস্যুতে রাজ্যের ব্যাঙ্কগুলির উপর অসহযোগীতার অভিযোগ তুলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'কোনও ব্যাঙ্ক দয়া করছে না, সেটা তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।  স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে এখনও অবধি ১ লক্ষ ১৪ হাজার ছাত্র-ছাত্রী আবেদন করেছে। ১৪ হাজার আবেদন মঞ্জ পেয়ে গিয়েছেন। এখানে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি। আমি এডুকেশন ডিপার্টমেন্টকে বলব, বারবার বলা হচ্ছে সমবায় ব্য়াঙ্কগুলি থেকে সাহায্য নিতে। কী কারণে হচ্ছে না, আমি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেখতে চাই, এটা মিটে গিয়েছে। এদিন সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়কেও কড়া ভাষায় বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন, Municipal ELections 2022: ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ পুরসভার নির্বাচন, বিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের

অরূপ রায়কে এদিন মমতা প্রশ্ন করেন, 'অরূপ রায় কতবার বলতে হবে, আমাকে এককথা। বারবার বলা হচ্ছে অন্যব্যঙ্কগুলি দিচ্ছে না যেটা, পড়ে আছে যেটা সেটা সমবায় ব্যাঙ্ক দেবে। আমাদের ব্যাঙ্ক দেবে।' তবে এর উত্তরে অরূপ বলেন, 'আমরাই তো দিচ্ছি।' যদি এই কথা শুনে সন্তুষ্ট হননি মমতা। বিরক্ত হয়েই বলেন তিনি, 'ভাই দিচ্ছি বললে হবে না। আমার কাছে সংখ্যা বলছে না, সেকথা। সিরিয়াসলি দেখো এটা।' এদিকে মুখ্যসচিব বলেন, সব কোঅপরারেটিভ ব্যাঙ্কও সব কিছু দিচ্ছে না। এরপরেই আর রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। কঠোরভাবে বলেন, ডাকো সকল সমবায় ব্যাঙ্ককে। অন্যানো ব্যাঙ্কগুলিকেও মিটিংয়ে ডাকো। যুক্ত হয় ওরা খালি। কাজের কাজ কিছু করে না।'

 মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সমস্ত টাকাই তো ব্যাঙ্কের মাধ্যমে যায়। তাতে ওদের একটা আয় হয়। এই টাকাটাও তো ওরা পাবে। ইন্সরেন্স করা আছে, সরকারের নিজস্ব প্রকল্পের টাকা। মনে হচ্ছে যেনও ওরা দয়া করছে। ওরা যে দয়া করছে না, সেটা ওদের বুঝিয়ে দিতে হবে। এরপরেই, ব্যাঙ্কগুলির এগিয়ে না আসার পিছনে কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আছে কি, উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা। তাই ঠুঁটো জগন্নাথের মতো বসে রয়েছে। ব্যাঙ্কের ইউনিয়ন থেকে শুরু করে অফিসারদের অনুরোধ করব, এটা সরকারের টাকা, সরকার গ্র্যান্টটার। এই ক্রেডিট কার্ডগুলির অনুমোদন আপনারা দ্রুত দেবেন বলে অনুরোধ জানান মমতা।

অপরদিকে এদিন দুয়ারে সরকারের নয়া প্রকল্প নিয়েও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। উ্ল্লেখ্য, চলতি বছরে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় দফার  দুয়ারে সরকার। এবারের শিবিরগুলিতে আরও বেশি করে পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে ইঙ্গিত দেন মমতা। এই মুহূর্তে মোট ১৮ টি বিভাগের পরিষেবা মেলে। আরও ৬ টি অতিরিক্ত পরিষেবার এবার মিলবে দুয়ারে সরকার শিবিরে। মৎসজীবী, শিল্পী , ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প-সহ প্রাণি বিকাশ দফতরের জন্যও নির্দিষ্ট ক্রেডিট কার্ড মিলবে। এদিন জানান মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।