সংক্ষিপ্ত
অসম থেকে ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তাবাহিনীর জোড়া পিস্তল খোয়া গিয়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানানো হয়েছে অসম পুলিশকে।
বছর ঘুরতেই পাঁচ রাজ্যে ভোট। আর তার আগে রাজ্যে রাজ্যে সফর করে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সম্প্রতি কলকাতা (Kolkata) পুরনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর অসমে উড়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে গিয়ে কামাক্ষ্যা মন্দিরে পুজোও দেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে ফেরার পথেই ঘটে গিয়েছে বড়সড় বিপত্তি। সূত্রের খবর, অসম থেকে ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তাবাহিনীর(Chief Minister's security forces) জোড়া পিস্তল খোয়া গিয়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানানো হয়েছে অসম পুলিশকে। চুরি নাকি পিছনে অন্য কোনও রহস্য তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা থেকে বিমানে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী হিসাবে ছিলেন দুই পিএসও। তারাও একই বিমানে ওই দিন অসম যান। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১২ জন আগেভাগেই ট্রেনে করে গুয়াহাটি গিয়েছিলেন। তাঁরা ফেরার সময়েও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে আসছিলেন। ছি্লেন মোট ৮ জন। তখনই ঘটে যায় এই অদ্বূত ঘটনা। সূত্রের খবর, গুয়াহাটি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া ট্রেনটি যখন নিউ কোচবিহার স্টেশনে দাঁড়ায় তখন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তাবাহিনীরা লক্ষ্য করেন যে, তাঁদের নিয়ে যাওয়া ১০টি ব্যাগের মধ্যে একটি ব্যাগ উধাও। যাতে ছিল দুটি গ্লক পিস্তল। ১০ রাউন্ড গুলি। এই ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়ায় অন্য নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যেও।
আরও পড়ুন-অযোধ্যায় জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ, চাপের মুখে তদন্তের নির্দেশ যোগী সরকারের
তবে কে বা কারা ব্যাগটি চুরি করেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। চুরি পিছনে কি উদ্দেশ্যই বা থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশও। ইতিমধ্যেই অসম পুলিশের পাশাপাশি এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি-ও। ঘটনাটি অসম না বাংলায় ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে না। এদিকে ট্রেনটি যে রুট দিয়ে কলকাতায় এসেছিল তাঁর মধ্যে কিছুটা এলাকা সন্ত্রাসপ্রবণ বলে জানা যাচ্ছে। আর সেখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে। নাশকতার উদ্দেশ্যেই পিস্তল গুলি চুরি করা হয়েছে কিনা তা ভাবাচ্ছে সকলকে। এদিকে এই ঘটনায় স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলার প্রশাসনিক মহলে। দুই রাজ্যে পুলিশ একযোগে তদন্তে নামালেও এখনও অধরা চোর। তবে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কোনও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা বিভাগ। ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা তা নিয়েও শুরু হয়েছে তদন্ত।