সংক্ষিপ্ত

  •  আপাতত এপ্রিলে পুরসভা নির্বাচন হচ্ছে না
  •  রাজ্য় নির্বাচন কমিশনে অন্য সিদ্ধান্ত
  •  ১৫ দিন পর এই নিয়ে ফের বৈঠক হবে
  • সেকানেই নির্বাচনের দিন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে


 

জল্পনাই সত্য়ি হল। আপাতত এপ্রিলে পুরসভা নির্বাচন করানোর দিকে এগোল না রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। করোনা ভাইরাসের জেরে এবার পিছিয়ে গেল পুরসভা ভোট। ঠিক হয়েছে,  রমজানের পর বা জুনের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে রাজ্য়ে। সোমবার সর্বদল বৈঠকে এমনই ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শাসক ও বিরোধী দলগুলির আবেদনের ভিত্তিতে একথা জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। 

করোনার উপসর্গ জেনেও বেলেঘাটা আইডি থেকে ফেরার মহিলা, থানায় খবর

সূত্রের খবর, আগামী ১৯ এপ্রিল কলকাতা ও হাওড়ায় পুর নির্বাচনের নির্ঘণ্টা ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। সেক্ষেত্রে বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচন হওয়ার কথা এপ্রিলের ২৮ তারিখ। কিন্তু সেই পরিকল্পনা আপাতত বিশ বাঁও জলে। রাজ্য়ে একের পর এক স্কুল, কলেজ উচ্চ প্রতিষ্ঠানে ছুটির নোটিশ পড়ায় চিন্তা বেড়েছে সবার মনে। করোনার কারণে আপাতত নির্বাচনেও ধীরে চলো নীতি নিল নির্বাচন কমিশন। 

করোনা আতঙ্কের জের, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্য়ে সব স্কুলে ছুটি

এদিন করোনা ভাইরাসের জেরে পুরভোট নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা বলে কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে জরুরি ভিত্তিতে বসে বৈঠকে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুব্রত বক্সী,তাপস রায় বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং শুভঙ্কর সরকার এই বৈঠকে উপস্থিত হন। বিজেপির পক্ষে মিটিংয়ে যোগ দেন সব্যসাচী দত্ত, জয়প্রকাশ মজুমদাররা। এদিন বৈঠকে হাজির হন বামফ্রন্টের তরফে সুজন চক্রবর্তী, সুভাষ নস্কর, হাফিজ আলম সইরানি, প্রবীর দেব, সুখেন্দু পানিগ্রাহী প্রমুখ। বাম ও কংগ্রেস নেতারা একসঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে আসেন।

করোনায় আক্রান্ত গ্রাহক, আতঙ্কে বিছানা বয়কটে নিষিদ্ধপল্লীর মেয়েরা

সোমবার রাজ্যের ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে কমিশন। পুরভোট ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলে। ১৫ দিন পর ফের পর্যালোচনা বৈঠক করবে কমিশন। সেদিনই পুরভোট নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য গতকালই রাজ্য়ে পুরবোট  পিছিয়ে  দেওয়া নিয়ে মন্তব্য় করেন বিজেপি  নেতা মুকুল রায়। বারাসতে বিজেপি নেতা বলেন, রাজ্য়  নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট পিছোনোর কথা বলবে না বিজেপি। করোনা নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও নিজেরা এ বিষয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু বলবে না। করোনা যখন মহামারীর আকার ধারাণ করেছে,তখন রাজ্য  নির্বাচন কমিশন বৈঠক ডাকছে। সেখানে ভোট কীভাবে হবে সেটাই আলোচ্য । আমি ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুললেই তৃণমূল বলবে বিজেপি পালিয়ে যাচ্ছে ।