সংক্ষিপ্ত
- ডায়ালিসিস করতে গিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের
- এদিকে জানা গিয়েছে, তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ ছিল
- ওই প্রৌঢ়র পরিবারের ৩ জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে
- পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে
আরও পড়ুন, রাজ্যেই বানাবে এবার করোনার ওষুধ, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরী করবে 'বেঙ্গল কেমিক্যাল'
সূত্রের খবর, এপ্রিলের ১ তারিখ ডায়ালিসিসের জন্য বিরাটির এক বাসিন্দা ভর্তি হন ভিআইপি রোডের ধারে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। ডায়ালিসিস চলাকালীনই বছর বাষট্টির ওই প্রৌঢ় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন । এরপর ৫ তারিখ তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে, করোনা আক্রান্ত বলে সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। তাঁরা করোনা পরীক্ষার জন্য বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু সেখানে বেড খালি না থাকায় পার্ক সার্কাসের কাছে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ওই প্রৌঢ়কে। তাঁর করোনা পরীক্ষা হয় এবং সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে, পার্ক সার্কাসের ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, তাঁর শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। পরিবারের অভিযোগ, ডায়ালিসিস করাতে গিয়ে হাসপাতাল থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন, এমআর বাঙ্গুরের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫ রোগীর মৃত্যু, কারণ জানতে অপেক্ষা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের
উল্লেখ্য়, একইরকম ঘটনা ঘটেছিল বেলঘরিয়ার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে। গত মাসের শেষ দিকে আড়িয়াদহের এক বাসিন্দা ওই নার্সিংহোমে ডায়ালিসিসের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তাঁর পরিবারেরও অভিযোগ ছিল যে নার্সিংহোম থেকেই সংক্রমণ হয়েছে। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ মেনে নেননি। পার্ক সার্কাসের ঘটনাতেও সেই একই অভিযোগ উঠে এল আরও একবার।
এনআরএস-র আরও ৪৩ জন স্বাস্থ্য কর্মীর রিপোর্ট নেগেটিভ, স্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
করোনার রোগী সন্দেহে বৃদ্ধকে বেধড়ক মার, স্যালাইনের চ্যানেল করা হাতে দড়ি পড়ালো মানিকতলাবাসী
করোনায় আক্রান্ত এবার কলকাতার ২ ফুটপাথবাসী, হোম কোয়ারেন্টাইনে উদ্ধারকারীরা