সংক্ষিপ্ত
আজ তাঁর পরনে ছিল আকাশি শার্ট, ফরমাল ট্রাউজার, বাঁ হাতে হলুদ রঙের শীত পোশাক। আর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মাস্ক পরেছিলেন তিনি। তাঁর শরীরী ভাষায় কোনও ভয় বা চিন্তার ছাপ একেবারেই ছিল না।
আজ সকালেই গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। আর সেই মতোই মঙ্গলবার সকাল ১১টার বেশ কিছুটা আগেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছান সাংসদ তথা অভিনেতা দেব (Dev Adhikari)। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান তিনি। গাড়ি থেকে নেমে স্বাভাবিক ছন্দে হেঁটেই সিবিআই (CBI) দফতরের মধ্যে প্রবেশ করেন তিনি।
আজ তাঁর পরনে ছিল আকাশি শার্ট, ফরমাল ট্রাউজার, বাঁ হাতে হলুদ রঙের শীত পোশাক। আর করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) কথা মাথায় রেখে মাস্ক (Mask) পরেছিলেন তিনি। তাঁর শরীরী ভাষায় কোনও ভয় বা চিন্তার ছাপ একেবারেই ছিল না। সিবিআই দফতরে প্রবেশের আগে আবার চিত্র সাংবাদিকদের (Photo Journalist) আবদার মতো কয়েক সেকেন্ডের জন্য দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। তারপর সোজা প্রবেশ করেন দফতরের মধ্যে।
আরও পড়ুন- 'ইসলামপুর পুর নির্বাচনে তৃণমূল নেতাই সন্ত্রাস চালাবে', অভিযোগ দলেরই বিধায়কের
৯ ফেব্রুয়ারি গরু পাচারকাণ্ডে দেবের কাছে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। আজ তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। সেই মতোই আজ সকালে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান তিনি। এই মামলার তদন্তের সময়ই উঠে এসেছে তাঁর নাম। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৭-১৮ সাল নাগাদ গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের কাছ থেকে দেব নগদ কয়েক লক্ষ টাকা ও ঘড়ি-সহ বেশ কিছু উপহার নিয়েছিলেন। এনামুল নিজেই নাকি সেকথা সিবিআইকে জানিয়েছেন। আর তা নিয়েই এবার দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। এছাড়া দেব ছাড়াও এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। মোট তিনবার তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- রাতের অন্ধকারে পোড়ানো হল বিজেপির পোস্টার-ব্যানার, উত্তেজনা পুরুলিয়ায়
এদিকে টলিপাড়ার (Tollywood) এখনও পর্যন্ত কোনও তারকাকে (Actor) নিজাম প্যালেসে এভাবে হাজিরা দিতে দেখা যায়নি। এই প্রথমবার দেবের মতো একজন সুপারস্টার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন। তবে অন্য রাজ্যে অনেক সময়তেই বিভিন্ন তারকাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে এই সব দফতরে হাজিরা দেওয়ার সময় সাধারণত সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে যান তাঁরা। কিন্তু, দেবের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়নি। বরং তাঁর শরীরী ভাষা দেখে মনে হচ্ছিল, এই মামলায় তদন্তকারীদের সাহায্য করতে তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত।