সংক্ষিপ্ত
নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে ভোট নিয়ে একাধিক মন্তব্য করতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে চলমান রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নিয়েও একাধিক মন্তব্য করেন তিনি।
কলকাতায় পুরভোটের(KMC election) পালা সাঙ্গ হতেই গোটা রাজ্যেই এবার নতুন করে পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালের শুরুতেই পুরভোট হতে চলেছে রাজ্যের অন্যান্য পুরসভা গুলিতে। ২২ জানুয়ারি হাওড়া, বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল ও চন্দননগরে(Howrah, Bidhannagar, Siliguri, Asansol and Chandannagar) পৌরসভা নির্বাচন হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে বাকি পৌরসভাগুলিতে। আরও সহজ করে বললে মেদিনীপুর, খড়গপুর, ঘাটাল, ক্ষীরপাই, কাঁথি, ঝাড়গ্রাম সহ দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি জেলার পৌরসভাগুলিতে নির্বাচন হতে চলেছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। এমতাস্থায় এবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে ভোট নিয়ে একাধিক মন্তব্য করতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি(BJP's all-India co-president) দিলীপ ঘোষকে(Dilip Ghosh)। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে চলমান রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত(State-Governor conflict) নিয়েও একাধিক মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে হাওড়া পুরসভার(Howrah Municipality) ভোট নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে কটাক্ষবান শানাতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। এদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, “রাজ্যে এটা ট্রাডিশন। কাউকে না পেলে রাজ্যপালকে ধরো। উনিই টার্গেট। তাই হাওড়াতে ভোট হল না। উনি সই করেননি। নিশ্চই কারণ আছে। তৃণমূল যখন নিশ্চিত হবে, পুরো ভোট লুঠ করা যাবে, তখন ভোট হবে।“ অন্যদিকে কলকাতা পুরভোট নিয়ে তোপ দাগেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে। রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলের হয়ে কাজ করেন এটা প্রমাণিত। না হলে এভাবে একটা একটা করে ভোট হত না।” অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে বিজেপির ভাঙন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ভোটের আগে অনেকে এসেছিল। এখন এক এক করে যাচ্ছে। আদি কর্মীরা কেউ দল ছাড়েনি। এরকম আসা যাওয়া পার্টিতে লেগেই থাকে।”
আরও পড়ুন-প্রকাশ্য জনসভায় ওসিকে হুমকি, হুমায়ুনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু পুলিশের
অন্যদিকে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে(Murshidabad) পুলিশকে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে হুমকি দিতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ক(Trinamool MLA) হুমায়ুন কবীরকে। এদিন এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “উনি বিভিন্ন দল করেছেন। নানারকম মন্তব্য করেছেন। যত্রতত্র ছড়ি ঘোরাতে চেয়েছেন। এটাও তার মধ্যে একটা। এবার সরকার বা প্রশাসন বুঝতে পারছে। তাই এফ আই আর করা হয়েছে।” পাশাপাশি মিশনারিজ অফ চ্যারিটি। প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় দিলীপকে। তাঁর দাবি, “গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানেন না, কোথায় রাজনীতি করতে হয়। কোথায় করতে নেই। উনি সব জায়গায় পঞ্চায়েতী করতে যান। মিশনারিজ নিজেই বলেছে, ওদের কিছু আকাউন্ট ৩১ ডিসেম্বর ফ্রিজ হয়ে যাবে। উনি আগেভাগেই বিষয়টা নিয়ে রাজনীতি করে ফেললেন।”