সংক্ষিপ্ত

তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভোট দিতে না এলেও, ভোট দেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও মেয়ে সুচেতনা। সব সময় পরিবারের সঙ্গেই ভোট দিতে আসতে দেখা যেত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। 

রবিবাসরীয় সকাল থেকেই পুরভোটকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার ছবি ধরা পড়েছে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে। কোথাও বিরোধী দলের কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ, তো কোথাও ভুয়ো ভোটার নিয়ে এসে ভোট করানোর অভিযোগ। আবার কোথাও বোমাবাজি। বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে শহর কলকাতা। দুপুর ২ টো পর্যন্ত অশান্তি সৃষ্টি করার জেরে মোট ৭২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে এই উত্তেজনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে এবারও ভোটের দিন বাড়িতেই থাকলেন একদা রাজ্যের ভোটযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সেনাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)।

তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভোট দিতে না এলেও, ভোট দেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও মেয়ে সুচেতনা। সব সময় পরিবারের সঙ্গেই ভোট দিতে আসতে দেখা যেত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। কিন্তু, গত কয়েকটি নির্বাচনে তিনি ভোট দেননি। এমনকী, বিধানসভা নির্বাচনেও ভোট দেননি তিনি। আসলে শরীর ভালো না থাকার ফলে বাইরে বের হতে পারেন না। গোটা দিন কাটে ঘরের মধ্যেই। তবে বাড়িতে থাকলেও রাজনীতির প্রতি এখনও পর্যন্ত সমান উৎসাহ রয়েছে তাঁর। শুধু শরীরটাই সায় দিচ্ছে না। সেই কারণে মনে ইচ্ছে থাকলেও ভোটের দিন বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারছেন না। মীরা ভট্টাচার্য  ভোট দিতে এসে জানালেন, সিওপিডি-র পুরোনো সমস্যা তো রয়েছেই। সেইসঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে গিয়েছে। বাড়িতে একেবারে শয্যাশায়ী তিনি। 

আরও পড়ুন- হাওড়া থেকে ভুয়ো ভোটার এনে করানো হচ্ছে ভোট, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

তবে শরীর সঙ্গ না দিলেও রাজনীতির প্রতি উৎসাহ এখনও সমানভাবে রয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে মীরা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজনীতি সম্পর্কে নিয়মিত খবর রাখেন তিনি। প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়ে শোনাতে হয় তাঁকে।  রাজনীতি সম্পর্কে বরাবরের মতো প্রখর আগ্রহ থাকলেও শারীরিক সক্ষমতার অভাবের কারণে ভোট দিতে আসতে পারলেন না তিনি। 

উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। যদিও তাঁরই অনুরোধে বেশি দিন হাসপাতালে রাখা সম্ভব হয়নি তাঁকে। এই মুহূর্তে বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও শেষপর্যন্ত চিকিৎসক ও পরিবারের চাপে তাঁর আর ভোট দেওয়া ওঠেনি। রবিবার কলকাতা পুরনিগমের ভোটেও তিনি ভোট দিতে পারলেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। 

আরও পড়ুন- ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের খান্না হাইস্কুলের সামনে বোমাবাজি, এলাকায় আতঙ্ক

কন্যা সুচেতনা বলেন, "ভোট দেওয়ার ইচ্ছা ছিল বাবার। তবে মূল সমস্যা হচ্ছে চোখ নিয়ে। এখন কার্যত চোখে দেখতে পায় না। দৃষ্টিশক্তি খুবই ক্ষীণ। সিওপিডি-র সমস্যাও আছে। কার্যত সজ্জাশায়ী। ঠিকমতো বসতেও পারে না।"

প্রসঙ্গত, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ভোটের প্রচারে দেখা যায়নি। ২০১৯-র  লোকসভা ভোটের আগে বামফ্রন্টের ব্রিগেডের সভায় এসেছিলেন তিনি। তবে মঞ্চে ওঠেননি। ব্রিগেড ময়দানে গাড়িতেই ছিলেন তিনি।