সংক্ষিপ্ত
- রবিবার 'জনতা কারফিউ'-এর ডাক প্রধানমন্ত্রীর
- সেদিন এ রাজ্যে শিক্ষকদের স্কুলে হাজিরা থাকতে হবে
- নোটিস জারি করা হয়েছে ডিআই অফিসের তরফে
- মুখ্যমন্ত্রীকে নোটিশ প্রত্যাহারের আর্জি রাজ্যপালের
যেদিন দেশজুড়ে 'জনতা কারফিউ' পালনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেদিন এ রাজ্যে মিড-ডে মিলের প্রস্তুতির জন্য স্কুলে যেতে হবে শিক্ষকদের! মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে নোটিশ প্রত্যাহারের আর্জি জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অবিলম্বে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার ও নোটিশ প্রত্যাহার করার আবেদন জানাচ্ছি। বিপদে সময়ে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের স্বার্থেই জন কারফিউ-এর ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পদক্ষেপ গোটা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: মোদীর পাশে সৌরভ, করোনা রুখতে জনতা কারফিউ সমর্থন দাদার
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে সমস্ত স্কুল, কলেজ, এমনকী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকলেও পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের চাল ও আলু দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্য়ারাকপুর জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসের তরফে নির্দেশিকা জারি করে শনি ও রবিবার জেলার সমস্ত স্কুল খোলা রাখার আর্জি জানানো হয়েছে। মিড-ডে মিলের সামগ্রী সরবরাহের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। একই নোটিশ দিয়েছে মালদহ ডিআই অফিস ও কলকাতা ডিআই অফিসও।
আরও পড়ুন: ৪ দিনে ৩ করোনা, বন্ধ রাজ্যের সমস্ত বিনোদন পার্ক
এদিকে রবিবার দেশজুড়ে 'জনতা কারফিউ' পালনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন সকাল সাতটা থেকে রাত ন'টা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যু্ক্তেরা ছাড়া সকলেই বাড়ি থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ফলে শিক্ষকদের স্কুলের হাজিরার নোটিশকে ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটেই টুইট করে নোটিশ প্রত্যাহারের আর্জি জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়।