সংক্ষিপ্ত

 PAC-র ইস্যুতে এবার সরাসরি বিধানসভায় চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল।  আর এবার রাজ্যপালের চিঠি ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।

পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি অর্থাৎ PAC-র ইস্যুতে এবার সরাসরি বিধানসভায় চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল। চিঠিতে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি।  আর এবার রাজ্যপালের চিঠি ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।

আপরও পড়ুন, 'দেওয়ার ইচ্ছা নেই, শুধু লোককে বোকা বানানোর চেষ্টা', মমতাকে তোপ দিলীপের
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় চিঠি দাবি জানিয়েছেন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি অর্থাৎ PAC-র চেয়ারম্যান মুকুল রায়কে করা হলে সংসদীয় ব্যবস্থার নিয়ম-রীতি ধাক্কা খাবে। এমনটাই অভিযোগ তুলে আগেই রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিঝেপি বিধায়করা। এবার এই প্রশঙ্গে বিধানসভার সচিবালয়ে চিঠি পাঠিয়ে কড়া মনোভাব তুলে ধরলেন ধনখড়। উল্লেখ্য পিএসি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের চিঠি শাসক দলকে বাড়তি চাপ মুখে এগিয়ে দিল। তবে বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় নির্দিষ্ট কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্পিকার। তবে হাইকোর্টে মামলা থাকা সত্বেও পিএসি নিয়ে রাজ্যপালের চিঠিতে অবাক বিধানসভার সচিবালয়ের অনেকেই।

 আরও পড়ুন, Sarada-Narada Scam: 'কেন চার্জশিটে শুভেন্দুর নাম নেই', শিশির পুত্রকে গ্রেফতারের দাবি কুণালের
 প্রসঙ্গত , বিজেপিতে থাকাকালীন PAC-র চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথমে অশোক লাহিড়ী এবং মুকুল রায়ের নাম নিয়ে জল্পনা চলছিল।  মকুল পত্নীকে হাসপাতালে দেখতে যান তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। ঘটনার মোড় আগে ঘুরলেও দল এরপরেই ঠাহর করতে পারে কোন দিকে বইছে ধারা। কিন্তু ততক্ষণে মাস্টার স্ট্রোক খেলে দিয়েছেন তৃণমূল মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মোদী-শুভেন্দু সবাইকেই টাটা করে ছেলেকে নিয়ে পুরোনো ঘরে ফেরেন মুকুল। এদিকে তাঁর হাতে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়কের পদ। সোনায় সোহাগা। যেহেতু  PAC-র চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান কোনও বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত হতে পারে, সেই সব কিছু মিলে গিয়েছে মুকুলের সঙ্গেও। দলবদল করে মানস ভুঁইয়ার পর ফের ইতিহাস গড়লেন মুকুল রায়। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC)চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেন বিধানসভার  স্পিকার। এরপরেই বিধানসভার প্রথা ভাঙায় তুলকালাম বাধায় বিজেপি। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন অম্বিকা রায়। 

মামলার শুনানি রাজ্যের তরফে অ্য়াডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছিলেন, এই বিষয়টির নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা একমাত্র বিধানসভার স্পিকারের রয়েছে। PAC-র চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে তিনিই চূড়ান্ত ক্ষমতা নিতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, সংবিধানের ২১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিধানসভায় চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী স্পিকার। পাশাপাশি মামালাদায়েরকারী অম্বিকা রায়ের বক্তব্য ছিল, মুকুল রায় বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন। কিন্তু বিধায়ক হওয়ার কিছুদিন পরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বিধানসভার PAC-র চেয়ারম্যান  সবসময় বিরোধী দল থেকেই মনোনীত হন। কিন্তু মুকুল রায় এখন আর বিজেপির সদস্য নেই। তাই PAC-র চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর নিয়োগ বাতিল করা উচিত বলে দাবি অম্বিকার।

 আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

 

YouTube video player