সংক্ষিপ্ত

  • করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছে বহু পরিবারে
  • সময়মতো সন্তানের স্কুলের ফি দিতে পারছেন না অভিভাবকরা
  • ফি দিতে না পারলেও স্কুল থেকে বাদ যাবে না পড়ুয়ার নাম
  • কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্ধ একাধিক অফিস। আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছে বহু পরিবারে। এই অবস্থায় সন্তানের স্কুলের ফি জোগার করতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা অভিভাবকদের। সময়মতো ফি দিতে পারছেন না অনেকেই। এই সময় কোনও পড়ুয়া স্কুলের ফি দিতে না পারলে বা ফি বকেয়া থাকলেও স্কুল থেকে তার নাম বাদ দেওয়া যাবে না। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে একথা জানানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন- সোমবার থেকে বাড়ছে স্টাফ স্পেশাল মেট্রো, আপ ও ডাউনে ১৫ মিনিট অন্তর ট্রেন

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্ধ রয়েছে সব স্কুল। ক্লাসের জন্য এখন একমাত্র ভরসা অনলাইন। কিন্তু, দীর্ঘদিন অফিস বা কাজ বন্ধ থাকায় আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছে অনেক পরিবারে। তাই এই সময় কোনও পড়ুয়া যদি সময়মতো স্কুলের ফি দিতে না পারে তাহলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। স্কুলের খাতা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে না। এমনকী, তার ক্লাসও বাতিল করতে পারবে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে  বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া এখন কিছুই করতে পারবে না স্কুলগুলি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ জুলাই। ওই দিন পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে।

আরও পড়ুন- করোনার ডেল্টা সংক্রমণের মধ্যেই নতুন বিপদ LAMBDA , কোভিডের নতুন রূপ নিয়ে সতর্ক করল WHO

দেশে করোনা থাবা বসানোর পরই সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গতবছর মার্চ থেকেই বন্ধ সব স্কুল। তবে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমার পর বিধিনিষেধ মেনে ক্লাস নাইন ও টেনের ক্লাস শুরু হয়েছিল। কিন্তু, কয়েকদিনের মধ্যেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্লাস চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন অনলাইনই একমাত্র ভরসা। স্কুলে ক্লাস না হলেও এই পরিস্থিতিতে আবার ফি বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে কয়েকটি স্কুলের বিরুদ্ধে। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বহু অভিভাবক আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েছেন। তাই স্কুলগুলির এই সময় একটু মানবিক হওয়া প্রয়োজন। এরপর এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানির সময়ই এই নির্দেশ দেন বিচারপতিরা।