সংক্ষিপ্ত

  • করোনা যুদ্ধে জিততে লাগাতার টেস্ট শ্রেষ্ঠ পন্থা
  • অথচ বাংলায় র‌্যাপিড টেস্ট না হওয়ার কারণ কী
  •  শনিবার যার জবাব দিলেন রাজ্য়ের মুখ্য় সচিব
  •  এখনও র‌্যাপিড টেস্টের কিট পাঠায়নি কেন্দ্রীয় সরকার  

করোনা যুদ্ধে জিততে লাগাতার টেস্টকেই শ্রেষ্ঠ পন্থা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা। অথচ বাংলায় কেন এখনও র‌্যাপিড টেস্ট শুরু হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। শনিবার যার জবাব দিলেন রাজ্য়ের মুখ্য় সচিব রাজীব সিনহা। তিনি জানান, এখনও রাজ্য়ে র‌্যাপিড টেস্টের কিট পাঠায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। সে কারণেই রাজ্যে এখনও র‌্যাপিড টেস্ট শুরু করা সম্ভব হয়নি।  

লকডাউনে গরিবের চালের পরিমাণ কমাচ্ছেন খাদ্য়মন্ত্রী,ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি বাবুলের।.

এ প্রসঙ্গে রাজ্য়ে এখনও পর্যন্ত  কতজনের পরীক্ষা হয়ে তার পরিসংখ্য়ান তুলে ধরেন তিনি। মুখ্য় সচিব জানান, রাজ্য়ে ৪,৬৩০ জনের পরীক্ষা হয়েছে। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২। আক্রান্ত (সক্রিয়) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৮। তবে এই বলেই থেমে থাকেননি রাজীব সিনহা। মুখ্য় সচিব জানান, ডবল শিফটে লালারসের নমুনা পরীক্ষার কতা ভাবছে রাজ্য় সরকার। নমুনা অনেক দূর থেকে পরীক্ষার জন্য় আসছে।  প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। হাওড়ায় ৫৮০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ৬২ জন। 
 
রাজ্য়ের সাম্প্রতিক অতীত বলছে, করোনা পরীক্ষার জন্য় রাজ্য়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে কিট নেই। অতীতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ  মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। যদিও রাজ্য়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যাণ্ড এনটেরিক ডিজিজেস (নাইসেড)-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,মুখ্য়মন্ত্রী বক্তব্য় ঠিক নয়। প্রথম থেকেই তাদের কাছে পর্যপ্ত পরিমাণ করোনা পরীক্ষার কিট রয়েছে। যদিও নিত্য়দিন কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানে করোনা পরীক্ষার কম নমুনা পাঠাচ্ছে রাজ্য়ের স্বাস্থ্য় দফতর।  

'নন্দীগ্রামে সিপিএমের মতো অবস্থা, করোনায় লাশ গায়েব করছে তৃণমূল'..

করোনার কিট নিয়ে অতীতে মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্য়ে কথা বলার অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপির আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তথ্য় পরিসংখ্য়ান দিয়ে বাবুল দেখিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্য় সরকারকে পর্যাপ্ত পরিমাণ করোনার কিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ ব্যবহারই করা হচ্ছে না। এবার সেই একই সুর শোনা গেল নাইসেড-এর প্রধান সান্তা দত্তের কথায়। একটি জাতীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংস্থার বিভাগীয় প্রধান বলেন, আমাদের কাছে ২৭,৫০০ করোনা পরীক্ষার সরঞ্জাম রয়েছে। কোনওদিনই এই কিটের ঘাটতি হয়নি। যেহেতু স্বাস্থ্য়ের বিষয়টা রাজ্য় সরকারের  হাতে, তাই তারাই বলতে পারবেন কেন কম পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

রাজ্য়ে করোনায় মৃত্যু বেড়ে ১২, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭ জন..

এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেনি নাইসেড-এর প্রধান। তাঁর দাবি, প্রথম প্রথম করোনা পরীক্ষায় প্রতিদন ৮০-৯০টি নমুনা পাঠানো হত নাইসেড-এর কাছে। কিন্তু বিগত দিনে তা  খুব কমে এসেছে। তিনি জানান, দিন তিনেক আগেও তাঁর কাছে ১৮টি সোয়াব টেস্টের জন্য় এসেছে। এমনকী কোনওদিন মাত্র ৯টি নমুনা পরীক্ষা করেছে নাইসেড। যেখানে সারা দেশ জানে ভাইরাস রিসার্চ ডাইগনস্টিক ল্যাব হওয়ার দরুণ পূর্ব ভারতে সবথেকে বড় পরিকাঠামো রয়েছে নাইসেড-এর। সেক্ষেত্রে অন্য়ান্য় মেডিক্য়াল কলেজের থেকে নাইসেড-এ লোকবল অনেক বেশি।