সংক্ষিপ্ত
রায়গঞ্জ ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার পরেও হুঁশ ফেরেনি জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষের বলে অভিযোগ। জাতীয় সড়কের বেহাল অংশ ও ডাইভারশন পয়েন্টগুলির বেহাল দশা একই থেকে গিয়েছে।
রায়গঞ্জ ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার (Raiganj Bus Accident) পরেও হুঁশ ফেরেনি (National Highway Authority) জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষের বলে অভিযোগ। জাতীয় সড়কের বেহাল অংশ ও ডাইভারশন পয়েন্টগুলির বেহাল দশা একই থেকে গিয়েছে। ডাইভারশনের (Diversion) আগে জাতীয় সড়কের দুইপাশে আগাম সতর্কতা হিসেবে বোর্ডগুলি খুব ছোট আকারে সেগুলি ড্রাইভারদের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য (Danger) বিপদ দ্বিগুন পরিমাণে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। যদিও বড়ো রিফ্লেক্টর বোর্ড (Reflector Board) লাগানোর সিদ্ধান্ত কথা জানিয়েছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি।
আরও পড়ুন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতায় এতবড় দুর্ঘটনা', বিস্ফোরক রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান
বুধবার গভীর রাতে রায়গঞ্জ থানার রুপাহার এলাকায় ৩৪ নম্বর (বর্তমানে ১২ নম্বর) জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক ভর্তি একটি বাস পাশের নয়নজুলিতে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় ৬ জন যাত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হওয়ার পরেও কার্যত হুঁশ ফেরেনি জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষের বলে অভিযোগ।দূর্ঘটনার পর ঙ্কার্যত নিজেদের উদাসীনতা ঢাকতে ও জেলা প্রশানের চাপে জাতীয় সরক কতৃপক্ষ দুর্ঘটনার এলাকায় বেহাল জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজ শুরু করলেও জেলার উপড় দিয়ে চলে যাওয়া জাতীয় সড়কের বেহাল অংশ ও ডাইভারশন পয়েন্টগুলির বেহার দশা একই থেকে গিয়েছে। জাতীয় সড়কের এই বেহাল অবস্থা নিয়ে সাধারন মানুষ , জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি যে কোনও সময় এই ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা প্রকাশ করেছে বাস মালিকরা।ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি জানিয়েছে, জাতিয় সড়ক মেরামতের পাশাপাশি ডাইভারশন পয়েন্টগুলিতে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা এড়াতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির পক্ষ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে বারাসাত থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারনের কাজ শুরু হয়।উত্তর দিনাজপুর জেলায় রুপাহার, পানিশালা, করনদিঘি এলাকার কয়েকটি স্পটে জমিজটের কারনে এই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ ব্যহত হয়।ওই অংশগুলি বাদ রেখেই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলতে থাকে।ওই অংশগুলিতে ফোর লেন থেকে রাস্তা ডাইভারশন করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি রুপাহার, পানিশালা ও ঝাড়বাড়ি এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ফ্লাই ওভারের কাজ শুরু করা হয়।ফলে ডাইভারশন করে দেওয়া রাস্তার অংশ রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে দিন কে দিন বেহাল হয়ে পড়ে।রাস্তার ওই অংশের বিটুমিন উঠে গিয়ে, বড়ো বড়ো গর্ত তৈরি হয়ে তা কার্যত চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে। এই এলাকাগুলিতে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ডাইভারশন করা রাস্তার পাশ থেকে বিপুল পরিমাণে মাটি কেটে তা রাস্তার কাজেই লাগানো হয়।ফলে রাস্তার পাশে বিশাল আয়তনের গর্ত ( নয়নজুলি) তৈরী হয়।রাস্তার পাশে কোনও গার্ডওয়াল না দিয়ে ওই পরিমান মাটি কেটে নেওয়ার ফলে রাস্তার ওই অংশ আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।বুধবার রাতে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পরিযায়ী শ্রমিকভর্তি বাসটি হাইওয়ে অথরিটির 'কার্যত' সৃষ্টি করা ওই নয়নজুলিতে গিয়ে পড়ে।
রায়গঞ্জ বাস অমিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক প্লাবন প্রামানিক জানিয়েছেন,'রায়গঞ্জ থেকে মালদহ ও শিলিগুড়ি রুটে প্রতিদিন প্রায় 'শ-খানেক গাড়ি যাতায়াত করে।নিয়মিত টোলট্যাক্স দেবার পরেও কার্যত আমরা প্রিতিদিন জাতিয় সরকের বেহাল অবস্থার জন্য প্রানের ঝুকি নিয়েই যাত্রী পরিবহন করি।এই সমস্যার কথা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।' জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা ( District Magistrate Arvind Kumar Mina) জানিয়েছেন,'এই ঘটনার পর জাতীয় সড়কের ওই অংশ দ্রুত মেরামতের জন্য ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির মালদহ ডিভিশনের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর দীনেশ কুমার হানসারি জানিয়েছেন,'জাতীয় সড়কের রক্ষনাবেক্ষন নিয়মিত করা হয়।তবে এপ্রিল মাস থেকে টানা বৃষ্টির জন্য রাস্তার উপরি অংশের বিটুমিন টপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।সেই কারণে জাতীয় সড়কের উপর ডাইভারশন অংশগুলো খারাপ হয়ে রয়েছে।তবে ডাইভারশনের আগে জাতীয় সড়কের দুইপাশে আগাম সতর্কতা হিসেবে বড়ো বড়ো রিফ্লেক্টর বোর্ড লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ডাইভারশন বোর্ডগুলি খুব ছোট আকারের রয়েছে। সেগুলি ড্রাইভারদের নজরে পরার জন্য আকারে বড়ো ও রিফ্লেক্টর লাগানোর কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে।'
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা