সংক্ষিপ্ত
- পুর নির্বাচনেও সক্রিয় নন তিনি
- বিজেপিতে থেকেও কেন প্রচারে নেই
- বঙ্গি বিজেপিকে প্রশ্ন সর্বভারতীয় সভাপতির
- নাড্ডার প্রশ্নে অস্বস্তিতে দিলীপ ঘোষ
সামনেই পুরসভা নির্বাচন। ঘাসফুল থেকে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েও দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় রয়েছেন তিনি। এবার দলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থান জানতে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের প্রশ্ন করলেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মুরলীধর স্ট্রিটে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দলে থেকেও শোভন কেন নিষ্ক্রিয় তা দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়দের জিজ্ঞাসা করেছেন নাড্ডা। স্বাভাবিকভাবেই দলনেতার এই প্রশ্নে অস্বস্তি বেড়েছে দিলীপের।
দোলের পরেই সুখবর, একলাফে দাম কমল পেট্রোল-ডিজেলের
বেহালায় শোভনের জায়গায় স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রচারের মুখ করেছে তৃণমূল। পুরভোটের প্রচারে রত্নাকে পাশে বসিয়ে দায়িত্ব দিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সক্রিয় করতে এবার উঠেপড়ে লেগেছে সেন্টাল বিজেপি। ইতিমধ্য়েই দিল্লি থেকে ফোন এসেছে জগৎপ্রসাদ নাড্ডার। মুকুল রায় ,দিলীপ ঘোষদের এ বিষয়ে উদ্য়োগ নিতে বলেছেন খোদ নাড্ডা। শোভন চট্টোপাধ্য়ায় দলে থেকেও কেন প্রচারে যাচ্ছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি। বিবাদ ভুলে শীঘ্রই দলের প্রচারে শোভনকে নামাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
১৫ লক্ষ টাকার শৌচাগার, তৃণমূল নেতার 'কীর্তি দেখে' হতবাক প্রশান্ত কিশোর
তবে শোভন যে কোন পথে রয়েছেন তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় রাজ্য় বিজেপি। অতীতে মুকুল রায়ের হাত ধরে দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন। কিন্তু বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায় নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য়ে বদলে যায় পরিস্থিতি। শোভনকে রাজ্য় সদর দফতরে স্বাগত জানানোর সময় নাম উল্লেখ করা হয়নি বৈশাখীর। যা নিয়ে প্রকাশ্য়েই ক্ষোভ উগড়ে দেন বৈশাখী। বান্ধবীর এই অসন্তোষে উষ্মা প্রকাশ করেন খোদ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। বিশেষ করে শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে দিলীপ ঘোষের 'ভাত-ডাল' মন্তব্য়ে মারাত্মক চটে যান শোভন।
দম থাকলে গ্রেফতার করে দেখা, পুলিশকে চ্যালেঞ্জ রোদ্দুর রায়ের
শোনা যায়, বান্ধবী ও তাঁকে নিয়ে বিজেপিতে যে চর্চা হচ্ছে তা নিয়ে মুকুল রায়ের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলেন শোভন। এরপর থেকেই বিজেপিতে আর দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকী তৃণমূল ছাড়ার পরও ভাইফোঁটাতে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাড়িতে। যা নিয়ে শোভনের তৃণমূলে ফেরার পথ একপ্রকার প্রশস্ত হয়। শোভনের ঘরওয়াপসির কথাও উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে।
কিন্তু পরে তৃণমূল, বিজেপি কোনও দলেই ভেড়েননি শোভন। যার জেরে পুর নির্বাচনের আগে প্রাক্তন মেয়রকে পদ্ম শিবিরে সক্রিয় করতে তৎপর হয়েছে বিজেপি। এ বিষয়ে শোভনের সঙ্গে আলোচনা করতে বলা হয়েছে দিলীপ-মুকুলদের। রাজ্য়ের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, আগামী ২৮ এপ্রিল কলকাতা ও হাওড়ায় পুর নির্বাচন হতে পারে। তাই প্রচারের মুখ হিসাবে শোভনকেই মাঠে নামাতে চায় বিজেপি।