সংক্ষিপ্ত
মুকুন্দপুরে জল জমার কারণ খুঁজে বার করলেন কলকাতা পুরসভার ড্রেনেজ বিভাগের প্রধান তারক সিং।ইঞ্জিনিয়াররা বলেন যে, কলকাতার পুরো ড্রেনেজ ক্রিস-ক্রসিং খালের উপর নির্ভরশীল।
জলমগ্ন মুকুন্দপুর ( Mukundapur)থেকে বেরোল জল জমা রহস্যের হদিশ। শহর কলকাতার দক্ষিণ -পূর্ব প্রান্তে মুকুন্দপুরে জল জমার ( water logging issue) কারণ খুঁজে বার করলেন কলকাতা পুরসভার ড্রেনেজ বিভাগের প্রধান তারক সিং (Tarak Singh)। তিনি (KMC)কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।
কী কী কারণে মুকুন্দপুরের জল সরছে না ? কোথায় সমস্যা ?
তারক সিং এলাকা থেকে জল বের হওয়া খালগুলোয় ড্রেনেজ সিস্টেম না করার জন্য সেচ বিভাগকে দায়ী করেন। বন্যার কারণ খুঁজে বার করতে যৌথ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত সেচ বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন,তাঁরা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু মুকুন্দপুরের কিছু অংশে এখনও ভূগর্ভস্থ নিষ্কাশনের অভাব রয়েছে। খোলা ড্রেন, যা খালে জল বহন করে, ভূগর্ভস্থ নলগুলির তুলনায় ধীর গতিতে কাজ করে। তাই সমস্যাগুলির সমাধান শীঘ্রই আসবে না বলে বার্তা তাঁদের। অপরদিকে, মুকুন্দপুর থেকে যেসব খাল জল বের করে-গুনিয়াগাছি এবং টালিগঞ্জে-পঞ্চান্নগ্রাম (টিপি) খালগুলি-সেগুলি প্রচুর পরিমাণে জমাট বেধে আছে। ইঞ্জিনিয়াররা বলেন যে, কলকাতার পুরো ড্রেনেজ ক্রিস-ক্রসিং খালের উপর নির্ভরশীল। যা শহর থেকে বৃষ্টির জল কুল্টি এবং বিদ্যাধরী নদীতে এসে পৌছয়। উভয়ই কলকাতার পূর্বে অবস্থিত। তারক সিং আরও বলেন, 'খালের মাঝে পলি পড়া প্রাথমিক সমস্যা। তার উপর ওই জমাট বাধা খালের মধ্য দিয়ে ওই জল খুবই ধীরগতিতে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই কারণে রাস্তায় জল জমে থাকে।'
আরও পড়ুন, Cyclone Gulab: 'গুলাব', কারা রাখল ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ের এমন সুন্দর নাম
পাম্পিং স্টেশনের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
শুক্রবারের ওই এলাকা পরিদর্শনের সময়, কয়েক দশকের মধ্যে ওই অঞ্চলে সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের কথা বিবেচনা করে গুনিয়াগাছি এবং টিপি খালে বেরিয়ে আসা সর্বাধিক জলের পরিমাণ নিয়ে খুঁজে বার করার পরামর্শ দেওয়া হয় সেচ বিভাগকে। ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, এ ধরনের রেকর্ড পাওয়া যায়। এটি তাদের কতটা ড্রেনেজের প্রয়োজন হবে তা সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। পাম্পিং স্টেশনের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। একটি ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নালার মাধ্যমে খালগুলিতে আসা জল নিষ্কাশনের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প ব্যবহার করে। পাশপাশি, কলকাতা পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, 'যদি একটি ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত জল নিষ্কাশনের ক্ষমতা না থাকে তাহলে অবধারিতভাবে জল জমবে।মুকুন্দপুর জুড়ে ভূগর্ভস্থ নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে এলাকার নালাগুলি বৃষ্টির জল খালে বহন করতে সক্ষম'
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা