সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনে গঙ্গাজলের গুণগত মান প্রায় পানীয় জলের কাছে পৌঁছেছে
- পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে গঙ্গা জলের পিএইচের মাত্রা ৭.৯
- পরিবেশকর্মীর কথায়,গঙ্গার জলে প্রায় ৫০ হাজার ব্যকটেরিয়া থাকে
- যেগুলি পেটের জন্য ক্ষতিকর, প্রাথমিক পরীক্ষায় সেগুলি ধরাও পড়ে না
এই মুহূর্তে গঙ্গার জলের পিএইচের মাত্রা ৭.৯। বর্তমানে জলে দ্রবীভূত পদার্থ কণার মাত্রা ৪০০-র কাছাকাছি। যা রীতিমত স্বাস্থ্য়কর।
আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত এবার কলকাতা পুলিশের কর্মী, তিনি এখন এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
বিশেষজ্ঞদের দাবি, সাধারণত পানীয় জলের পিএইচের মাত্রা ৬.৫ থেকে ৮.৫ হওয়া উচিত। প্রাথমিক ভৌত রাসয়নিক রিপোর্টে, এই মুহূর্তে গঙ্গার জলের পিএইচের মাত্রা ৭.৯। বর্তমানে জলে দ্রবীভূত পদার্থ কণার মাত্রা ৪০০-র কাছাকাছি। লকডাউনের আগে এটা ১১০০ এর কাছাকাছি ছিল। পানীয় জলের ক্লোরাইডের সহনশীল মাত্রা ০.২৫ পিপিটি। সেখানে গঙ্গার পিপিটি এখন ০.১৮। সেইসঙ্গে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণও যথেষ্ট বেশি। অন্য সময় যার পরিমাণ থাকে ২.৫-৩.২ মিলিগ্রাম / লিটার। সেটাই এখন বেড়ে হয়েছে লিটার প্রতি ৭.৫ মিলিগ্রাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গঙ্গার জলে অন্তত লিটার প্রতি ৫ মিলিগ্রাম অক্সিজেন থাকা উচিত। সেই পরিমাণ এখন আরও প্রায় ২ থেকে লিটার প্রতি ২.৫ মিলিগ্রাম বেড়ে গিয়েছে। যার জন্য় গঙ্গা নদীর মাছেরা ও অন্য়ান্য় প্রাণীরা এখন অনেকটাই স্বস্থিতে।
আরও পড়ুন, পয়লা বৈশাখে মমতার মিষ্টি উপহার, বুধবার রাজ্যে লকডাউন সফলে আধা সেনার পক্ষে সওয়াল রাজ্যপালের
পরিবেশকর্মী সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে কারখানা বন্ধ। তাই জলে এসে মিশছে না রাসায়নিক। উপরন্তু ফুল, বেলপাতা, ধুপকাঠি সহ পুজোর অন্যান্য সামগ্রী জলে না পড়ায় গঙ্গার জল অনেকাংশেই আগের থেকে ভালো হয়েছে। তবে এর মানেই যে গঙ্গার জল খাওয়া যাবে এমন নয়। তিনি আরও জানান, গঙ্গার জলে প্রায় ৫০ হাজার ব্যকটেরিয়া থাকে। যেগুলি পেটের জন্য খুব ক্ষতিকর। জলের প্রাথমিক পরীক্ষায় সেগুলি ধরা পড়ে না। তাই কখনওই গঙ্গার জল খাওয়া যাবে না। তবে গঙ্গা শুদ্ধ হলে পরিবেশের স্বাস্থ্য উন্নতি লাভ করবে।
করোনা আক্রান্ত এবার কলকাতা পুলিশের কর্মী, তিনি এখন এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
করোনার কোপে বন্ধ কলকাতার আস্ত একটি হাসপাতাল, ১০০ ছাড়িয়ে চিকিৎসক-নার্স সহ কোয়ারেন্টাইনে
পার্ক সার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে প্রৌঢ়ের মৃত্য়ু, করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই অভিযোগ তুলল পরিবার