সংক্ষিপ্ত

  • অর্থনীতির ধস থেকে নজর ঘোরাতেই এনআরসি
  •  বঙ্গে এনআরসি হতে দেবেন না, হুঁশিয়ারি মমতার
  • দেশজুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট ঢাকতেই এই ষড়যন্ত্র

আর রাখঢাক নয়। এবার এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে নামলেন তৃণমূলনেত্রী। বঙ্গে এনআরসি হতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

বিধানসভায় বিজেপি বাদে এনআরসি বিরোধিতায় একজোট হয়েছে তৃণমূল,কংগ্রেস সিপিএম। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এনআরসি হতে দেবেন না বলে মত দিয়েছে তিন দল। এবার এনআরসি নিয়ে রাস্তায় নামল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার পদযাত্রা করে যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন তৃণমূল নেত্রী। সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন মমতা।  পরে শ্য়ামবাজারে তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'দেশ জুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট ঢাকতেই এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এশিয়ায় ভারতের জিডিপি সবচেয়ে কম ৫ শতাংশ। বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পরেও ভারতের স্থান।'

মমতার ওপর হামলায় অভিযুক্ত লালু আলমকে বেকসুর খালাস

পক্ষীকূল বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ,অপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে কৃত্রিম বাসা বানিয়ে তাক লাগালেন ব্য়ক্তি

বাংলায় যখন এনআরসি বিরোধিতায় পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী তখন মূরলীধর স্ট্রিট থেকে বাংলায় এনআরসি হবেই বলে হুংকার দিলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, রাস্তায লম্ফঝম্প করে লাভ নেই, অসমের মতো বাংলাতেও সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানেই এনআরসি হবে। যারা ভারতীয় নাগরিক, তাদের ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু অনুপ্রবেশকারীদের রেয়াত করবে না সরকার।

যদিও দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য়ের সঙ্গে একমত নন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, অসমে এনআরসি করে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে হিন্দুদের। অসমে এনআরসির নামে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গেছে। তারমধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু ছাড়াও ১ লক্ষ গোর্খা আছে,মুসলিম আছে, বৌদ্ধ আছে। স্বাধীনতার ৭৩ বছর পরেও আমাদের স্বাধীনতার প্রমাণ দিতে হবে? এখানে এসে ওরা (বিজেপি) বলছে দুই কোটি মানুষের নাম বাদ দেবে, আমি বলছি দুটো লোকের গায়ে একবার হাত দিয়ে দেখো? এত সস্তা নয়। লক্ষ লক্ষ পুলিস দিয়ে অসমের মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে, কিন্তু বাংলার মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে না।

ধর্ষণে অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিল মুদিখানার ফর্দ

নিমেষে উধাও বিনামূল্যের কন্ডোম, শিলিগুড়ির হাসপাতালে ফাঁকাই পড়ে বাক্স

এনআরসির প্রতিবাদে এদিন রাজপথে মমতা বলেন, মরে গেলেও রাজ্য়ে এনআরসি চালু করতে দেব না। আর একবার বঙ্গভঙ্গ হতে দেব না। গত ৩১ অগাস্ট অসমে প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র চূড়ান্ত তালিকা। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৩ কোটির নাম। তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লক্ষ মানুষ। যার প্রতিবাদে বরাবরই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।