সংক্ষিপ্ত
- করোনা ভাইারাসের চিকিৎসা এড়ালে বিপদ
- গ্রেফতার হতে হবে সেই ব্যক্তিকে
- রোগ লুকিয়ে পালালেও একই আইনে হাজতবাস
- নয়া মহামারী আইন লাগু করল মমতার সরকার
করোনা ভাইারাসের চিকিৎসা এড়িয়ে গেলে গ্রেফতার হতে হবে সেই ব্যক্তিকে। এমনকী রোগ লুকিয়ে পালালেও একই আইনে হাজতবাস করতে হতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। সোমবার রাজ্য়ে মহামারি প্রতিরোধী আইন জারি করে এমনই বার্তা দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
জানালা খোলা রাখলে ভাইরাস বেরিয়ে যাবে, করোনা রুখতে দিদির নিদান
১৮৯৭ সালে মহামারি সম্পর্কিত আইনের ২ নং ধারা অনুযায়ী, রোগ লুকোনো ব্যক্তিকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অধিকার থাকবে রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রের সুরক্ষার স্বার্থে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা হবে সেই ব্যক্তিকে। এখানেই শেষ নয়, এরপরও ব্যক্তি কথা না শুনলে অগত্যা তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকবে সরকারের হাতে।
করোনার উপসর্গ জেনেও বেলেঘাটা আইডি থেকে ফেরার মহিলা, থানায় খবর
রাজ্য়ে ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা সন্দেহে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সোমবার জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি সেই সভায় ডাকা হয় রাজ্য়ের প্রশাসনিক আধিকারিকদের। পরে বৈঠক শেষে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনারা ঘরের জানালাগুলো খোলা রাখুন। যেখানে এসি আছে সেখানেও জানালা খোলা থাক। আমি শুনেছি জানালা খোলা থাকলে অনেক ভাইরাস বেরিয়ে যায়।
করোনায় আক্রান্ত গ্রাহক, আতঙ্কে বিছানা বয়কটে নিষিদ্ধপল্লীর মেয়েরা
এই বলেই চুপ থাকেননি মুখ্য়মন্ত্রী, তিনি জানান- অনেক ব্যক্তিকে করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলে তারা বিরক্তবোধ করছেন। তারা জোর করে বাড়ি যেতে চাইছেন। ফলে রাজ্যবাসীর স্বার্থে আমি বাধ্য হয়ে ১৮৯৭ সালের মহামারি সম্পর্কিত ২নং আইনটি পুনরায় জারি করছি। অতীতে বম্বে প্রেসিডেন্সিতে প্লেগের মহামারী আটকাতে এই আইন এনেছিল ব্রিটিশরা । এই আইনের প্রভাবে খাটিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে সন্দেহভাজন প্লেগের রোগী খুঁজে বের করত ব্রিটিশ সরকার। সংক্রমিতদের জোর করে আলাদা করে রাখা হত। ধ্বংস করে দেওয়া হত সংক্রমিত এলাকা। সেই সময়ে এই আইনের অপব্যবহার নিয়েও অনেক অভিযোগ ওঠে।