সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের একাধিক জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। শনিবার বন্যা দুর্গতের কাছে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক খতিয়ান তৈরি করা হয়েছে। তবে মমতার সফরের আগেই তাঁর পরিসংখ্যান দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী।
রাজ্যের একাধিক জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation)। শনিবার বন্যা দুর্গতের কাছে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক খতিয়ান তৈরি করা হয়েছে। তবে মমতার সফরের আগেই তাঁর পরিসংখ্যান দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী (H. K. Dwivedi)।
গত কয়েকদিনে প্রবল বর্ষণ হয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডে। যার জেরে মাইথন, পাঞ্চেত, তিলপাড়া, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়তেই ভেসে গিয়েছে বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক খতিয়ান দিয়েছে নবান্ন।রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী জানিয়েছেন, আরামবাগের ২ জায়গায়, খানাকুলে ১ এবং ২ নম্বর ব্লকে ২ টি, বাঁকুড়ার বড় জোড়া, হাওড়ার উদয়নারায়নপুর, বারভূমের নানুর এবং পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে। প্রভাবিত ২২ লক্ষ্যের বেশি মানুষ। প্রসঙ্গত, শুক্রবার এ প্রসঙ্গে ডিভিসি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে 'ম্যান মেড বন্যা'-র বলে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ,' ঝাড়খন্ডে যেহেতু অনেক বৃষ্টি হয়েছে, ওরা আমাদের না বলে রাত্রি তিনটের সময় জল ছেড়ে দিয়েছে। ফলে সেই জলের তোড়ে ভেসেছে আসানসোল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমানে। ফলে ঝাড়খন্ড-বিহারে বৃষ্টি হলে আমাদের ফেস করতে হচ্ছে। ওরা যদি ওদের ট্য়াঙ্ক গুলি একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখে, তাহলে সেখানে অনেক জল ধরে। কিন্তু ওরা কোনও পরিষ্কার করে না। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এটা চলছে। তাই ওদের জন্য আমাদের খেসারত দিতে হচ্ছে।'
"
আরও পড়ুন, নিম্নচাপের জের, আজ প্রবল বর্ষণ উত্তরবঙ্গে, পশ্চিম ভারত থেকে বর্ষা বিদায়ের পূর্বাভাস
উল্লেখ্য, শুক্রবার জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে ডিভিসি। মাইথন ব্যারেজ থেকে ৮০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক।পাশাপাশি হিংলো ব্যারেজ থেকে দু লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ায় পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম অজয় নদের জলে প্লাবিত। মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রামের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি গ্রাম জলে প্লাবিত। নবান্ন আরও জানিয়েছে, জলে তোড়ে প্রায় ১ লক্ষের বেশি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। বহু মানুষ আশ্রয়হীন। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও। নিরাপদ আশ্রয়ে ৪ লক্ষ দুর্গতকে সরানো হয়েছে। ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ রয়েছে ত্রাণ শিবিরে। ত্রিপণ বন্টন করা হয়েছে। ২ হাজার মেট্রিকটন জিআর চাল বিলি করেছে প্রশাসন। ঘাটালে বাড়ি চাপা পড়ে ১ শি সহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা